লাকসামে ছেলে ধরা বা অপহরনকারীর হাত থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেলো স্কুল ছাত্র।
গত কাল আনুমানিক রাত আট ঘটিকার সময় সৈয়দ আরাফাত করিম(১৫) নামক রেলওয়ে হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রকে বাসা থেকে পাশ্ববর্তী দোকানে পন্য কিনতে যাওয়ায় সময় অজ্ঞাত দু’জন দুষ্কৃতকারী অটোরিক্সায় করে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে তুলে নিয়ে যায়। পরে ছেলেটি মেধা খাটিয়ে অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পায়। এই বিষয়ে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার নং . SDR No. 594/19. Date: 05/08/19
কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌর এলাকাধিন ২নং ওয়ার্ডের বড়তুফা গ্রামের মৃত সৈয়দ আনোয়ারুল করিমের ছোট ছেলে আরাফাত করিম এ. মালেক ইনস্টিটিউশন (রেলওয়ে হাইস্কুল) এর ছাত্র। তার মা আয়েশা আক্তার জানায় আমার ছেলে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তি রেলওয়ে হাই স্কুল সংলগ্ন দোকান থেকে কিছু পন্য কিনতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রেলওয়ে স্কুল কলনীর এ.মালেক ইনস্টিটিউশন(রেলওয়ে হাই স্কুল) প্রধান শিক্ষকের বাস ভবন এর সামনের রাস্তায় দুইজন দুষ্কৃতিকারী তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক একটি অটো রিক্সায় তুলে ফেলে। আটো রিক্সাটি নিয়ে দুস্কৃতিকারীরা রেলওয়ে লোকো কলনী হয়ে বাইন চাটিয়া গ্রাম দিয়ে পেরুল দক্ষিণ পাড়া মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে আমার ছেলে সৈয়দ আরাফাত করিমকে ধরে রাখা দুস্কৃতিকারীর হাফানি উঠে, তখন সে দুস্কৃতিকারী ইনহেলার স্প্রে করার জন্য এক হাত ছেড়ে অন্য হাতে সৈয়দ আরাফাত করিমকে ধরে রাখে এমন সময় কিছুটা সুযোগ পেয়ে সৈয়দ আরাফাত করিম ধস্তাধস্তি শুরু করলে এক পর্যায়ে ভাগ্যক্রমে সে চলন্ত অটো রিক্সা থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়তে সক্ষম হয় এবং নেমে পড়ার সাথে সাথে আটো রিক্সার চালক (অপর দুস্কৃতিকারী) তাকে ধরার চেষ্টা করলে তার জামা ছিড়ে যায় ও সে চালকের হাতে কামড় দিয়ে কোন রকম দৌড়ে পার্শ্ববর্তি তার মামার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয়।
এমতাবস্থায় আমরা অত্যন্ত অনিরাপদ বোধ করছি। কে বা কারা কেন এহেন কান্ড ঘটালো তা বুঝতে পারছি না। আমার সন্তান সৈয়দ আরাফাত করিম ও আমাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত।
.