শের ই গুল
সময়কাল ২০০৩ সাল।
ঐ সময়ে খুলনা সরকারী মহিলা কলেজ ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় ছাত্রদল। ছাত্রদলের অভিষেক অনুষ্ঠানে তৎকালীন সেলিব্রেটি চলচ্চিত্র খল অভিনেতা আহমেদ শরীফকে অতিথি হিসাবে নিয়ে আসা হয়। অতিথি স্টেজে উঠে তার ভাষনের প্রথম লাইন ছিল ।
❝মুজিব যদি জাতির পিতা হয় আমি কার সন্তান ? ৭১ এ মুজিব ছিল পাকিস্তানের এয়ারকন্ডিশন ঘরে। উনি ঐখানে বসে আপেল আঙুর খাইছেন আর আমার নেতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।❞
জি, আমি গতকাল প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ৩৫০০০০০/- ( পয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা অনুদান নেয়া আহমেদ শরীফের কথাই বলছি।
আমার জানা নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই মানুষ গুলিকে কারা নিয়ে যাচ্ছে এবং কেন নিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে সাহায্য করা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ,অনুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসারদের কাছে সবিনয় নিবেদন করছি আহমেদ শরীফরা না অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করুন সে যে দলেরই হোক না কেন।
কিন্তু মানুষ রুপি কিছু দাঁতাল কে সহায়তা করা কি আমাদের অনেক বেশী প্রয়োজন ? আহমেদ শরীফ ঠিক কোন ক্যাটাগরিতে অসহায় হিসাবে প্রমানিত তা জানার প্রয়োজন ?
আমার জাতির পিতাকে যে সম্মান দেখাতে পারে না, আমার দেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে যে প্রহসনের আশ্রয় নেয়, তার জন্য আমার ঘৃণা ছাড়া কোন আবেগ আসতে পারেনা।
আর আহমেদ শরীফ আপাদমস্তক ঘৃণা পাওয়ার মতোই একজন অমানুষ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে কথা বলা আহমেদ শরীফকে শিল্পী হিসেবে তুলে দেয়া হয় সরকারি অনুদান । তাও আবার জাতির পিতার কন্যার হাত দিয়ে। কিছুই বলার নেই। তাঁকিয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কিছুই বলার নেই !
শুধু বলবো, গণভবনে নেত্রীর পাশে ওরা কারা ?
অনেক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ , স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ , ছাত্রলীগের নেতা কর্মী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে , তাদের দেখার কেউ নাই ! আফসোস হয় অনেক কষ্ট পাই অসহায় গরীব মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। সব কথার শেষ কথা আমার দেশের প্রধান মন্ত্রী যার অন্তর নরম কাদা মাটির মতো …আল্লাহ ওনাকে বাঁচিয়ে রাখুন আমাদের দেশের জন্য ..
শের ই গুল