হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেও হত্যা মামলার আসামি!
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘটনার আগের দিন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরও নিরপরাধ আমিরুল ইসলাম ওরফে আমির হোসেনকে হত্যা মামলার জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করেন আমির হোসেনের বাবা হাজী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই হত্যা মিশনে তার ছেলে আমির হোসেন উপস্থিত ছিল না। ঘটনার একদিন আগ থেকে তার ছেলে আমির হোসেন ব্রাম্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিল। অথচ পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আমির হোসেনকে চাঞ্চল্যকর সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় পরিকল্পিত ভাবে ৪ নম্বর আসামী করা হয়। ঘটনার প্রায় আনুমানিক ৩ঘন্টা পর আমির হোসেন ঘটনাস্থলে না এসে হাসপাতাল থেকেই ছাড়পত্র নিয়ে তার কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। সে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঢাকায় ব্যবসা বানিজ্যের সাথে জড়িত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ জুন বিরোধের জের ধরে বাঙ্গরা থানার শ্রীকাইল ইউনিয়নের সোনাকান্দা তিন রাস্তার মোড়ে সাইদুর রহমানকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ওই এলাকার মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এবং তাকে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সাইদুরের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। উক্ত ঘটনায় নিহতের মা রফিয়া বেগম ২০১৮ সালের ২৭ জুন বাঙ্গরা বাজার থানায় নামধারী ১২ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দেয়। এরমধ্যে চারজন আসামী কারাগারে রয়েছে। অথচ সাইদুর রহমানের উপর হামলার দিন ও সময় আমির হোসেন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। এখন সে পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ দিকে ষড়যন্ত্রের শিকার নিরপরাধ আমির হোসেনকে উক্ত হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য নিহত সাইদুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার ছেলে সবুজ মিয়াসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী নিহতের ব্যাক্তিগত গাড়ী চালক হুমায়ুন কবির আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামাও দাখিল করেছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর, তাই গুরত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত না থাকলে কেউ হয়রানির শিকার হবে না। তদন্তে আমির হোসেনের নাম না আসলে এবং স্বাক্ষী প্রমান না থাকলে তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হবে।