হাজিগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ এখন চাঁদপুরের ঐতিহ্য।
মোঃরবিউল আলম (শুভ) (হাজিগঞ্জ থানা প্রতিদিন)
হাজিগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদটি চাঁদপুর জেলার একটি প্রাচীন মসজিদ।কেবল প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে নয়,আয়তনের দিক দিয়েও এই মসজিদটি উপমহাদেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ একটি মসজিদ। এছাড়া জুমাতুল বিদায় এর বৃহত্তম জামাতও এখানে অনুষ্ঠিত হয়।এই কারনেই এই মসজিদটির ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বিষেশ তাৎপর্য রয়েছে। মসজিদটি বর্তমানে ২৮,৪০৫ বর্গ মিটার ভূমির উপর সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। এই বিসাল মসজিদটির রয়েছে ১৮৮ ফুট উচ্চতার একটি মিনার।মসজিদটি আহমদ আলী ওয়া্কপ এস্টেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় একাদশ শতকের গোড়ার দিকে মকিম উদ্দিন( রঃ) নামে একজন আরব দেশ থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হাজিগঞ্জে আসে। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারে এই স্থানের নাম মকিমাবাদ রাখা হয়।তার বংসের শেষ মানুষ হাজি মনিরুদ্দিনের নামে বিবর্তিত হয়ে এই অন্ঞ্চলের নাম হয় “হাজিগঞ্জ”। তার প্রপৌত্র হাজি আহমদ আলী পাটোয়ারী( রঃ) হাজিগঞ্জ বড় মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় মসজিদটি খড়ের একচালায় নির্মিত হয়।১,৩৩৭ বঙ্গাব্দের ১৭ আশ্বিন মাওঃ আবুল ফারাহ জৈনপুরি (রঃ) পাকা মসজিদটি ভিত্তিস্থাপন করেন।নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১,৩৪৪ বঙ্গাব্দের ১০ শে অগ্রহায়ণ এই মসজিদটিতে প্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেই নামাজে বিখ্যাত ব্যক্তি সেরে বাংলা একে ফজলুল হক,,, হোসেন মোহাম্মদ সহরওয়ার্দী প্রমুখ বরেন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আজ সেই মসজিদ বর্তমানে চাঁদপুরের ঐতিহাসিক মসজিদ ও চাঁদপুরের ঐতিহ্য।
আরো পড়ুন: