March 28, 2023, 1:41 am

#
ব্রেকিং নিউজঃ
লালমাইয়ে জুতা পায়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ফলকে ইউএনও!বুড়িচংয়ে সম্পত্তি বিরোধের জেরে ৫জনকে কুপিয়ে জখম; মামলা তুলে নিতে হুমকি।মহেশপুরে পুত্রের লাঠির আঘাতে পিতার মৃত্যু.জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হলেন সাদিয়া ইসলাম: নড়াইল সদর।কুমিল্লায় নব-গঠিত কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির পরিচয় সভা অনুষ্ঠিত।বাউফলে ডাকাত চিহ্নিত, মালামাল উদ্ধার হলেও প্রকাশ্যে ডাকাতদের চলাফেরা।ইশ্বরগঞ্জে ঘুমন্ত মা কে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক ছেলে আটক।কুমিল্লা মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহবায়ক কমিটি গঠন।কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সময়ের আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারী সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন

সরকারী সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত ঝারু মিয়ার পুত্র হারিজ মিঞা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশে পাকহানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে দেশ মুক্তির প্রেরনায় পরিবার পরিজন ফেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘর এলাকায় আশ্রয় নেন এই বীর সেনানী। এরপর সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে দীর্ঘ নয় মাস পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কখনো সম্মুখ সমর কখনোবা শত্রু’র ঘাটির উপর হামলা শেষে ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ মুক্তি লাভ করলেও মুক্তি মিলেনি দেশের সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা হারিজ মিঞার। তাইতো জীবন সায়াহ্নে
এসে এই অকুতোভয় যোদ্ধা সরকারী সাহায্যের জন্য আবেদন করছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে।
মুত্তিযোদ্ধা হারিজ মিঞা। ১৯৪৪ সালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী জগন্নাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ’৭১ সালে সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে ওই সময়ের যুবক হারিজ বসে থাকেননি। দেশ মার্তৃকার টানে তিনিও সীমান্ত অতিক্রম করে পাড়ি দেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘর মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষিণ শিবিরে। মুক্তিযুদ্ধকালীন মেজর হায়দারের দুই নং সেক্টরের অধীন এই ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেন সুবেদার আবদুল কাদের ও সুবেদার মাহবুবের কাছ থেকে। এরপর বিভিন্ন সময়ে হানাদার বাহিনীর সাথে দুই নং সেক্টরের অধীনে বিভিন্ন রনাঙ্গণে হারিজ মিঞা একাধিক যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বীকৃতি স্বরূপ এই যোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনী ওসমানী ও সেক্টর কমান্ডার মেজর হায়দার স্বাক্ষরিত দেশ রক্ষা বিভাগ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র যার ক্রমিক নং হড়-৮২৯৮০ দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই বীর সেনানী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানের। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে ভাগ্য জুটেনি কোন সরকারী স্হাায্য সহযোগীতা। মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়ে এই যোদ্ধা নিজেকে আবারো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় পেতে বছরের পর বছর ধরে নিজ জেলা কুমিল্লার জেলা মুৃক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সদর উপজেলা কমান্ডার, কখনোবা তার নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের করা সত্যায়িত অনুলীপিসহ সহযোদ্ধাদের প্রত্যায়নপত্র নিয়ে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন সামান্য একটু সরকারী সাহায্যের আশায়। কিন্তু মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে এসেও এই বীর সেনানীর ভাগ্যে কোন সাহায্যই জুটেনি। এক ছেলে ৪ মেয়ের জনক জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তান হারিজ মিঞা বর্তমানে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিকসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার শক্তি হারিয়ে বিছানায় শুয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভারসাম্য হারানো এই যোদ্ধার একমাত্র ছেলে শহিদুল ইসলাম জানান, বহু আবেদন নিবেদন করেও আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। তবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বার বার আমাদের আশ্বস্থ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা হারিজ মিঞা’র সাহায্যের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।

#

     আরো পড়ুন:

পুরাতন খবরঃ

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১