শিক্ষিকা বাবলির ছলনায় টিটিসি অধ্যক্ষ আজ চৌদ্দশিকে বন্দী-
ফেইসবুক অন করা মাত্রই আমাদের সকলের চোখে একটাই জিনিস পড়ে, সারা দেশে কেবল ধর্ষন আর ধর্ষন,অবাক লাগে অধিকাংশ ধর্ষকই হলো মানুষ গড়ার কারিগর(শিক্ষক),অল্প কিছু ধর্ষক চিকিৎসক,ড্রাইভার,ছাত্র নেতা ও আম পাবলিক।
আমরা কি জানি কে এই বাবলি?
নাম তার ফৌজিয়া আলম বাবলি, নামেই বুঝা যায় তার ছলনায় কত মানুষ হাবু-ডুবু খায়? তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মৌসুমি সিনেমা হলের সামনে। তিনি বিএড শেষ করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএড করছেন। ফৌজিয়া আলম বাবলি বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে টিটিসি কলেজের গোস্টরুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে থানা পুলিশ।
এ লজ্জা আমরা কোথায় রাখি? আমরা কি মানুষ গড়ার কারিগর? আমাদের কাছে পিতা-মাতা তাদের কোমল মতি ছেলে মেয়েদের পাঠায় নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য।কিন্তু আমরা এই কচি মনের শিশুদের কি শিক্ষাচ্ছি? আমাদের নিজেদের চরিত্রই যদি এমন হয়? তাহলে ছাত্র/ছাত্রীদের অবস্থা কি হবে?
মনের কথা কাউকে বলতেও পারি না,আবার সইতেও পারি না। সম্প্রতি এমন একটা ঘটনায় আমার তথা পুরো দেশের মানুষকে অবাক করে দিয়েছে। যদিও আমার এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলা মানায় না, উচিতও না,তারপরও না বলেও পারছি না। কারন আইন সবার জন্যই সমান।
এমন আইন হওয়া উচিত নয় যে, একজন জেলে থাকবে আরেক জন বাহিরে থেকে নিত্য নতুন পুরুষ নিয়ে আনন্দ ফূর্তি করে ঘুরে বেড়াবে,আর বলবে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। উনি (বাবলি)মেয়ে বলেতো আইনের উর্ধে নয়। আমরা ও আইনের উর্ধে নই।
আমিও তো মানুষ, আমার ও তো বিবেক রয়েছে, কিন্তু এটা কেমন কথা- সাম্প্রতিক ঘটনা পাবনা (টিটিসি) কলেজের গেস্টরুমে মধ্যরাতে কোন এক শিক্ষক, শিক্ষিকা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তাদের কে আটক করে ছাত্র/ছাত্রীরা । আটকের পর তাদের দুই জনকে থানায় নেয়া হয়, এরপর শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিয়ে,শিক্ষককে চালান করে দেয় থানা প্রশাসন।
পরের দিন জাতীয় সব দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ফলাও করে ছাপা হয়, ধর্ষণের দায়ে শিক্ষক আটক,আর শিক্ষিকাকে মুক্ত করে দেয়া হয়। আমার কথাই বাদ দিলাম, সারা দেশের পুরুষের মুখে একটাই কথা – জনৈক ঐ (বাবলিকে) শিক্ষিকাকে শিক্ষকের রুমে পাওয়া যায়,শিক্ষিকার রুমে কিন্তু ( সুজাউদ্দৌলাকে) শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন শিক্ষক জেল খাটবে? দুই জনই সমান অপরাধী, দুই জনেরই সাজা হওয়া উচিত। এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক?
বিকালে পাবনা থানার ওসি ওবাইদুল হক এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই শিক্ষার্থী এবং অধ্যক্ষের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে পুলিশ জানতে পারে। বিকালে থানায় এসে দুজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। বাবলী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার দেখান। রাত ৮টা পর্যন্ত অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলা থানায় ছিলেন। এদিকে অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার কিছু ভুল ছিল। তবে তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি ষড়যন্ত্র মূলক বলে তিনি জানান।
সবার মুখে একটাই প্রশ্ন – ধর্ষনটা তাহলে কে করতে চেয়েছিল? ঐ শিক্ষক? নাকি শিক্ষিকা।? এই অসংগতি দেখে না বলে থাকতে পারলাম না।
মিথ্যের দাপটে সত্য আজ দিশেহারা!
সবাই আমাকে ক্ষমা করবেন-
সুত্রঃ নতুন সময়
আরো পড়ুন: