মোঃ সানা উল্লাহ্ খাঁন ।।
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের মধ্যম ছিলোনিয় গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে হিজড়াদের চাঁদাবাজি – লাঞ্চনার শিকার হয়েছে, তাই উপজেলা প্রশাসন লালমাই এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । হিজড়াদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তাদের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির কাছে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে এদের দেখার যেন কেউ নেই ! গত কাল ১৮ অক্টোবর রোজ শুক্রবার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের মধ্যম ছিলোনিয় গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে হিজরাদের চাঁদাবাজির এই ঘটনা ঘটেছে । তারি একটি ভিডিও Alamgir Hossen Opu এর ফেইজবুক থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও দেখুন । স্থানীয় সূত্রে, জানা যায় এলাকায় এমন কিছু লোক আছে তারা কমিশনের বিনিময় এলাকায় বিয়ে বা অনুষ্ঠান হয় ঠিক তখনি তারা হিজাড়াদের খবর দিয়ে থাকে। কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তারা চাঁদাবাজি করে না। কেউ আবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই চলে অশ্রাব্য গালাগালসহ দুর্ব্যবহার। এতে অনেকেই বিব্রত হন। হিজড়াদের এই বেপরোয়া চাঁদাবাজি যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। হিজরাদের পাদচারণ ছিল এক সময় শহরে_____
এখন তারা গ্রাম গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামে-গঞ্জে কোন বিয়ে সাদী হচ্ছে রাস্তায় এমন তোরণ দেখলেই সেখানে প্রবেশ করে মোটা অংকের চাদাঁ দাবী করে বসে। চাদাঁ পরিমাণও যেনতেন নয় ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই-তিন হাজার পর্যন্ত দাবী করে বসে। এর কম দিতে অস্বীকার করলে অশালীন ব্যবহার করে এবং কাপড় খুলে বসে যায় পথে। এমনি এটি ঘটনা কুমিল্লা জেলা লালমাই উপজেলের ছিলোনিয়া গ্রামে । এতে বিব্রত হয়ে বাধ্য হয়ে তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিয়ে দিতে হয়। এছাড়াও কোন পরিবারে নতুন সন্তানের জন্ম হয়েছে শুনলে সেখানেও দল বেধেঁ হিজড়ারা হাজির হয়ে যায়। তারা মোটা অংকের টাকার পাশাপাশি কাপড় চোপড়ও দাবী করে বসে। এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঢুকে মাসের মধ্যে দুইতিন দিন চাদাঁ দাবী করে। এরা প্রথম প্রথম মাসে একবার করে বাসা বাড়িতে গেলেও এখন মাসের মধ্যে দুই তিনবারও চলে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবীকৃত পরিমাণ চাঁদা দেওয়া না হয় কতক্ষণ পর্যন্ত বসে থাকবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফোন করে দলবল নিয়ে হাজির হয়ে যায়। কেউ আবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই চলে অশ্রাব্য গালাগালসহ দূর্ব্যবহার। এতে অনেকেই বিব্রত হন। হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যা পিছিয়ে পড়া নির্যাতিত ও অসহায় এ জনগোষ্টির জন্য যথাযোগ্য প্রাপ্তিই বলতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো হিজড়াদের বেপরোয়ার চাদাঁবাজি। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে হিজড়াদের চাঁদাবাজি বন্ধে উপজেলা প্রশাসন লালমাই ব্যবস্থা গ্রহণ কামনা করছেন লালমাইয়ের জনসাধারণ।
আরো পড়ুন: