লাকসামে সরকারী চাকুরীজিবীর ধাপটে দিশেহারা নিরীহ একটি পরিবার
এম এ কাদের অপুঃ
কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভাধীন ১ নং ওয়ার্ডের মিশ্রী গ্রামে রেলওয়ে কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক, সরকারী কর্মকর্তা হওয়ার ধাপটে তার নিজ গ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমান কাউন্সিলরকেও পরোয়া করছেনা এ এক এম ফজলুল হক ওরফে ভূমি দস্যু ফজলু।
মিশ্রী মৌজার ৩৯৮ নং দাগে ৩৮ শতক জায়গা পাওনা থাকলেও মাত্র ৪ শতক জায়গার মধ্যে বসবাস করছেন মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে ফাতেহুল ইসলাম।
একই দাগের বাকি ৮.৬৬ শতক জায়গা দখল করে আছেন ফজলুল হক, এবং ৪০০ নং দাগে ৭ শতক জায়গার মধ্যে ২.৩৩ পয়েন্ট জায়গা ফাতেহুল ইসলাম পাওনা থাকলেও কোন জায়গা কোন জায়গা তাদের কে না দিয়ে একাই ভোগ দখল করে আসছেন ভূমি দস্যু ফজলুল হক।
মিশ্রী মৌজার ৩৯৮ নং দাগটি খতিয়ানে থাকলেও ৪০০ নং দাগটি পাওয়া জায়নাই, অথচ আর এস খতিয়ানে স্পষ্ট দেওয়া আছে যে ফাতেহুল ইসলাম ৪০০ নং দাগে ২ শতক জায়গা পাওনা।
শুধু জায়গা নিয়েই ক্ষেন্ত হয়নি ফজলুল হক, করেছে মামলা, গত ২৬-০৬-২০১৯ ইং তারিখে মোকাম কুমিল্লার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিঃ আরঃ পিঃ সি, দক্ষিণ আদালতে ৪ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৩৮৮।
মামলা করেও কোন ফলাফল পায়নাই ফজলুল হক। কারন, মামলা আসামীদের সমস্ত কাগজপত্র সঠিক থাকার কারনে মামলা করেও কোন প্রকার ফায়দা না হওয়াতে আবারো শুরু করেছে নতুন নাটক।
কথায় কথায় সরকারী চাকুরীজীবী বলে হুমকি দিচ্ছেন সবাইকে, তিনি কি একজন সরকারী চাকুরীজীবী নাকি একজন গড ফাদার এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
ফাতেহুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে গ্রামের সর্দারের কাছে তার বিরুদ্ধে বিচার চাইলে গ্রামের সর্দারদের কোন কথার মূল্য না দেওয়াতে স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডাঃ মোহাম্মদ উল্লাহ্র কাছেও ফাতেহুল বিচারের পার্থনা করলে কাউন্সিলর ডাঃ মোহাম্মদ উল্লাহ কেও কোনভাবে তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছে তার দূর্নীতি।
এর আগেও তার দূরনীতি ও জবরদখলের নিউজ দৈনিক ময়নামতি ও ২১শে টেলিভশনে খবর প্রচার করেছেন।
এ কে এম ফজলুল হকের এসব কর্মকান্ডতে অতিষ্ঠ হয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকার জনগণ।
আরো পড়ুন: