লাকসামে মসজিদের মালামাল চুরি করে হাতে নাতে আটক ২ চোর, থানায় সোপর্দ।
এম এ কাদের অপুঃ
কুমিল্লা জেলার প্রান কেন্দ্র লাকসাম পৌরসভাধীন লাকসাম পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড শ্রীপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় নব নির্মিত বায়তুল আমান জামে মসজিদে মঙ্গলবার সরকারী ভাবে ৪০ হাজার টাকার অনুদান আসলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের জন্য ৪০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রিক মালামাল ক্রয় করে মসজিদের কাজে লাগাইলে এই গ্রামের নাম করা চোর আবদুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম(২২) নামক ব্যক্তি সহ পার্শ্ববর্তি একই ওয়ার্ডের নশরতপুর উত্তর পাড়ার হোন্ডা মেইকার আমির হোসেন সহ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মসজিদে লাগালো ইলেক্ট্রনিক্সের সকল মালামাল কেটে নিয়ে হোন্ডা মেইকার আমিরের দোকানে রাখা হয়। স্থানীয় এলাকার লোকজন কৌশলে খবর নিয়ে মালামালসহ হাতে নাতে আটক করে চোর শরিফ ও আমির কে।
পরে তাদের কে বায়তুল আমান মসজিদের সামনে আনলে স্থানীয় এলাকার জনগন মিডিয়া ও পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের কে লাকসাম থানায় নিয়ে যায়।
প্রকাশ থাকে যে, শরিফ ও আমিরের বিরুদ্ধে পূর্বেও কয়েকটা মাদকের মামলা আছে বলে জানাযায়। শরিফ কে আরো বহুবার এলাকা ছাড়া করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করে গ্রাম থেকে বাহির করে দিলেও কয়েকদিন গ্রামের দূরে থেকে আবারো গ্রামে এসে শুরু করে দেয় এই চুরির কারবার। শরিফ বার বার চুরিতে ধরা খেলেও ছাড় পেয়ে গিয়ে আবারো লিপ্ত হয় চুরির কাজে। চুরি করতে করতে তার এমনই লোভ হয়ে যায় যে মসজিদের মত পবিত্র জায়গার জিনিস পত্র চুরি করতেও একটুও তার বিবেকে বাধা দিলোনা।
লাকসাম উপজেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য আমিনুল ইসলাম, শ্রীপুর গ্রাম কমিটির সভাপতি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ও গ্রাম সর্দার কমিটির অন্যতম সদস্য আবুল হাসেমের সহযোগীতায় এই দুই চোর কে আটক করে থানায় দিয়ে দেয় এলাকার জনগণ।
এইদিকে ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডাক্তার মোহাম্মদ উল্লাহ্ ঘটনাস্থলে এসে চোরদেরকে দেখে যায় এবং মসজিদের উন্নয়ন কাজে সবাইকে সহযোগীতা করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।
চোর শরিফ কে থানা হাজতে দেওয়ায় এলাকাইয় জনগণ সস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে এবং এলাকার জনগণকে বলতে শুনা যাচ্ছে এবার একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো।
আরো পড়ুন: