লাকসামে ভাগনীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মামাকে মেরে আহত, মোবাইল সহ লক্ষাদিক টাকা নিয়ে যায়।
এম এ কাদের অপুঃ
গত ২৭-০৫-২০১৯ইং তারিখ সকাল ৭ ঘটিকার সময় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আশা আন্তঃ নগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে হোসাইন মঞ্জিল, পূর্ব লাকসামের রাসেল হোসাইন (৩৬)ও তার ভাগনী তানজিনা আক্তার (১৩) সহ তানজিনার ভাই মোঃ তানজির হোসেন কে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠাইয়া দেওয়ার পর লাকসাম জংশন থেকে তানজিনাদের বাড়ি পুজকরা গ্রামে যাওয়ার পথে লাকসামের বিশিষ্ট মৎস্য আড়তদার লাকসাম পৌরসভার গাজিমুড়া পশ্চিম পাড়ার লাকসামের বিশিষ্ট মৎস্য আড়তদার আবু সায়েদের ছেলে আল-আমিন (১৯) ও তার সাথে থাকা অজ্ঞাত আরো ৩ জন মিলে তানজিনা কে নিয়ে বিভিন্ন কুটুক্তি করার কারনে তানজিনার মামা রাসেল হোসাইন তাদের কে বাধা দিলে বখাটে আল আমিন ও তার সহকারীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধুমকি দেয় চলে যায়।
এই ঘটনার রেশ ধরে গতকাল ৩০ শে মে রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ঈদের খরচ করার জন্য লাকসাম বাজারের চান মিয়া টাওয়ারের সামনে ইভটিজিংয়ে বাধা প্রদানকারী রাসেল হোসাইন কে একা পাইয়া বখাটে আল আমিন সহ তার সাথে থাকা বখাটে ঠেঙ্গার পাড় গ্রামের চান মিয়ার ছেলে হিরু মিয়া ওরফে হিরা(১৯), পশ্চিম গাও কলেজ পাড়ার আরিফ হোসেন (১৮) মিলে তাকে চান মিয়া টাওয়ারের সামনে থেকে হুমকির মুখে বাবুল ওয়েল মিলের সামনে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল,ঘুষি, লাথি মেরে রাসেল হোসাইন কে মারাত্বক ভাবে আহত করে এবং রাসেল হোসাইনকেই উলটা ইভটিজিং করার অপবাদ দিয়ে মাইর দিয়েছে বলেও জানান স্থানীয় জনতা।
শুধু তাই নয়, মিথ্যা অপবাদে রাসেল কে মেরে তার ডান হাতে থাকে ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি টি আরিফ হোসেন নিজেই আংটিটি খুলে নেয়, কোন প্রকার চিৎকার করলে মেরে ফেলবে বলে রাসেলের পড়নের জিন্স প্যান্ট থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা ১ নং আসামী আল আমিন নিয়ে নেয় এবং রাসেলের ব্যবহারিত স্যামসোং এস২ মডেলের একটি মোবাইল সেট যার মূল্য অনুমান ২২ হাজার টাকা সহ প্রায় ১ লক্ষ টাকার নগদ ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাসেল হোসাইন কে আহত অবস্থায় দেখে স্থানীয় লোকজন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাসেলের অবস্থা আশংকা জনক অবস্থায় থাকার কারনে রাসেলের ভাই শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরিপেক্ষিতে লাকসাম থানার থানার চৌকস অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সাথে সাথেই আমি ও আমার সঙ্গীয় ফোরস নিয়ে আসামীদের বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাইনাই তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।