এম এ কাদের অপুঃ
কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন ১ নং বাকই দক্ষিন ইউনিয়নের মধুশ্চর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম (২০) কে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ৩ মাস হলেও এখন উদ্ধার হয়নি জহির।
এদিকে অপহরনের বিষয় নিয়ে ৩ জনকে আসামী করে কুমিল্লার আদালতে.৩ জন অপহরনকারীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন অপহরন হওয়া জহিরের পিতা আমি আমিরুল ইসলাম।
মামল সূত্রে জানাযায়, গত ২৯-০১-২০১৯ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা অনুমান ৬ ঘটিকার সময় প্রতিবন্ধি জহির কে লোকমান হোসেন নামক ব্যক্তি মটর সাইকেল করে নিয়ে যাওয়ার সময় সরাসরি দেখারও কথা স্বীকার করলেন অপহরনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী।
অপহরনকারী ও প্রতিবন্ধি জহিররা একনই বাড়ির বাসিন্দা, দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমিন সংক্রান্ত ব্যাপারে ঝামেলা চলতেছিলো, তারই ধারাবাহিকতায় অপহরন করেন বিবাদী একনই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ১। লোকমান হোসেন (২৬) মৃত ইদু মিয়ার ছেলে ২। নজরুল ইসলাম (৪০), ও ৩। তাজুল ইসলাম (৫৩)।
গত ২৯-০১-২০১৯ ইং তারিখ বাদী আমিরুল ইসলাম তার বাক প্রতিবন্ধী ছেলে জহিরুল ইসলাম কে খোঁজে পাচ্ছিলনা, তার আত্মীয়স্বজন সকলের বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে কোথায়ও পাওয়া যায়নাই বিধায় মাইকিং করা শুরু করলে এক পর্যায়ে তারা লাকসাম থাকায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন, লাকসাম থানার নিখোঁজ ডায়েরী নং ১১৭/১৯।
থানায় ডায়েরী করার পরেরদিনই বিবাদীগণ বাদিকে তাঁহার বসত ঘরের সামনে একলা পাইলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে, বাদী আমিরুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ বাদীকে জানে মেরে ফেলার ও হুমকি দেন।
মামলার ১ নং সাক্ষী আবু তাহের জানান, আমি সব সময় সত্যের পক্ষে কাজ করেছি আজও আমি সত্য বলবো, আমার চোখের সামনে দিয়ে লোকমান প্রতিবন্ধী ছেলে জহিরকে হোন্ডায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি আবার হোন্ডার উপরেই থাকা জহিরের পিঠে একটা খোঁচা মারি, এর পরই শোনা যায় জহির কে পাওয়া যাচ্ছেনা, সুতরাং জহির কে লোকমানই নিয়ে গেছে।
এই দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল জানান, মামলার তদন্ত চলতেছে, কোর্টের যে কোন নির্দেশ আমরা যথাসময়ে পাওলন করার জন্য প্রস্তুত আছি।
আসামীদের পক্ষ হয়ে দৈনিক ডাক প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি পেশায় তিনি একজন আইনজীবি সহকারী হলেও কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত ডাক প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন মামুন চৌধুরী নামক ব্যক্তি। ওনার এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ওনাকে জানাতে হবে, প্রশ্ন হলো, ওনি সাংবাদিকতার কোন বিধানে পেয়েছেন যে কোন সাংবাদিক অন্য সাংবাদিকের এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে হলে অনুমতি নিয়ে করতে হবে?
বিবাদী লোকমান হোসেন কে এই ব্যাপারে জানতে তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনি কোন কিছুই বলতে নারাজি দেখান এবং সরেজমিনে তদন্ত করার কথাও পরামর্শ দেন।
আরো পড়ুন: