রাজধানীতে দুই শিশুকে ভুল চিকিৎসায় হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।
এম এ কদের অপু।
রাজধানীর কসাই ডাক্তার শিশির রঞ্জন দাশ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রথমে সমনজারি করলেও আসামী ডাক্তার শিশির রঞ্জন সহ অন্যান্য আসামীরা ভয়ে কোর্টে উপস্থিত না হওয়ায় ২৩ শে এপ্রিল মঙ্গলবার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। ডাক্তার শিশির, ডাক্তার মাজহারুল ইসলামরা বেচে যাওয়ার জন্য হসপিটালের কাগজ পত্র নকল করে প্রানে বাচার নতুন কৌশলকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে দুই জমজ শিশুকে হত্যার দায়ে এই ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। মামলায় এই ডাক্তার নামক কসাইদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বাহির হওয়ায় একটু খুশি ঝলক দেখা যায় মামলার বাদি মনিরুল ইসলাম শিমুলের চেহারায়। এই দিকে আসামী ডাঃ শিশির রঞ্জন, ডাঃ মাজহারুল ইসলাম সহ ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীদয় গা ডাকা দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলেও গোপন সুত্রে জানা যায়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও আসামীদের গ্রেফতার করে একটি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকার জনগণ। এইদিকে মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান জানান, আমি মোবাইলে কোন কিছুই বলতে চাইনা, আপনি আমাদের পিবিআই অফিসে আসেন। যদিও এই পিবিআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তদন্ত রিপোর্ট দেন আসামীদের পক্ষে। মামলার ১ নাম্বার আসামী ডাক্তার শিশির রঞ্জন দাশ ও ডাক্তার মাজহারুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে মোটা অংকের টাকা অফার করেন আর বলেন যদি কোন প্রকার নিউজ প্রকাশ হয় তাহলে প্রান নাশের হুমকি প্রধান করেন। ডাক্তার শিশির রঞ্জন দাশ সহ সদ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামীরা ফাইলের নিচে গ্রেফতারি পরোয়ানা ডেকে রাখার জন্য নতুন পায়তারা চালাচ্ছে বলেও গোপন সূত্রে জানাযায়।
মনিরুল ইসলাম শিমুল ২১ জনের নামে মামলা করলেও ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার আগে আসামীগণ অনেক ভাবে মামলার বাদী শিমুলকে মেনেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। আসামীগণ ডাক্তার বা ডাক্তারের লোক হওয়ায় তারা বাদী শিমুলের দুই নবজাতকের মৃত্যু মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন রকমের কাগজপত্র তৈরি করেছে যা আদালতে কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য না হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি প্ররোয়ানা জারি করেন।
এই দিকে ওয়ারেন্ট পেপার নিকস্থ থানায় যাওয়ার পর ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা লুকিয়ে ফেলার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কারন, আসামীদের পক্ষে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ নেতা কর্মীদের হাত থাকায় আইনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।
কথায় আছে যার কেউ নাই তার জন্য আল্লাহ আছে, ঠিক তেমনই এই মামলার বাদী শিমুল সহ এই মামলা নিয়ে ধারাবাহিক নিউজ করে সহযোগীতাকারী সাংবাদিক এম এ কাদের অপু কেও অনেক ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে, এমন কি বাংলাদেশ সরকারের ২/৪ জন মন্ত্রীও এই ব্যাপারে সুপারিস করলেও নিউজ তার গতিতে চলছিলো আর মামলাও চলছি আইনের গতিতে।
দুইটি জমজ সন্তানের রক্তের গ্রুপ আলাদা আলাদা থাকলেও যেই বাচ্চার যেই রক্তের গ্রুপ সেটা না দিয়ে অন্য রক্ত দিয়ে কেড়ে নিলো তাদের দুইটি প্রান। এমনটি দেখে কে আছে যে সহ্য করবে?
ডাক্তারদের কাছে কি তাহলে নাই কোন নিরাপত্তা? এক একজন অনেক বড় বড় ডাক্তার হয়েও কেনো তারা এমনটি করলো? মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর এই ডাক্তার নামক কসাই গুলোকে ফাসির দড়িতে ঝুলিয়ে মারার জন্য এলাকার সাধারণ জনগনের জোরালো দাবী।
আরো পড়ুন: