বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে শনিবার মিয়ারচর নামক স্থানে বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি যুবরাজ-৭ এর মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ফাটল ধরে লঞ্চটির তলায়। পরে নিরাপদে লঞ্চের তিনশ যাত্রীকে অন্য লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়েছে। লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ডুবে গেছে ক্লিংকার বোঝাই বাল্কহেডটি। বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঝড়ের সময় যুবরাজ-৭ লঞ্চটি পটুয়াখালী থেকে ঢাকা যাবার পথে চরে আটকে যায়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে একই কোম্পানির এমভি প্রিন্স অব আওলাদ আটকে যাওয়া লঞ্চটিকে টেনে নামায়।
এরপর লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বিপরীত দিক থেকে আস ক্লিংকার বোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ
হয়। এতে এমভি যুবরাজের তলায় ফাটল ধরে। এ সময় লঞ্চটিকে দ্রুত চালিয়ে ওই চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়। লঞ্চে থাকা প্রায় তিনশ যাত্রীকে এমভি প্রিন্স অব আওলাদ-৪ লঞ্চে করে ঢাকায় পাঠানো হয়। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের আটজন সদস্য সাঁতরে তীরে উঠেছেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।