মাদক সম্রাট হাবু’র দখলে দেবিদ্বারের সড়ক মহাসড়ক খাল! প্রকাশ্য চাঁদাবাজি নিরব প্রশাসন
মাহফুজ বাবু;
কুমিল্লা দেবিদ্বারের বাগুর এলাকার চান্দিনা থেকে দেবিদ্বার সড়ক ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক সবই তার দখলে। তার দাবী সে সরকারি দলের লোক, তাই বুক ফুলিয়ে গলা উচিয়ে প্রকাশ্যই করেন চাঁদাবাজি ও সুকৌশলে মরননেশা মাদকের কারবার। এছাড়া ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ের দেবিদ্বার অংশের ফুটপাতে এবং সরকারি খালে দখল করে টং দোকান সহ অর্ধশতাধিক দোকান ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় লক্ষ টাকা। আর এসবের সবই চলে দিনের আলোতে। উপজেলার চান্দিনা সীমান্তবর্তী ব্যাস্থতম সিএনজি ষ্ট্যান্ড নামে পরিচিত বাগুর ষ্ট্যান্ড। ঢাকা থেকে দেবিদ্বার আসার অন্যতম বাইবাস সড়ক চান্দিনা-দেবিদ্বার বাইবাস । এই সড়কেটি দৈঘ্যে প্রায় ১৪ কিলোমিটার তাই ঢাকা বা কুমিল্লা শহরে অল্প সময়ে চলাচল করতে পারে যাত্রী ও এলাকার লোকজন । বাগুর থেকে দেবিদ্বার পর্যন্ত সিএনজি ষ্ট্যান্ডের কোন ইজারা না থাকলেও চান্দিনা-দেবিদ্বার সিএনজি অটোরিক্সা চালক সমিতির নামে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সা থেকে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা চাদাঁ তোলা হচ্ছে সিএজি অটো প্রতি । সব মিলিয়ে দৈনিক চাঁদাবাজীর পরিমান ২০-৩০ টাকার চাদাঁ আদায় হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন অনুসন্ধান করে জানা যায় যায়, বাগুর এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাট হাবিবুল্লাহ প্রকাশ হাবু সরকার তার পেশী শক্তি, গুটিকয়েক স্থানীয় নেতাকে ম্যানেজ করে এবং ক্যাডার ও মাদকসেবী বখাটেদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত্র পর্যন্ত চাদাঁ তোলা আর মাদক বিক্রিই তার প্রধান আয়ের উৎস । কখন নিজে দাড়িয়ে থেকে আবার কখনো তিনশত থেকে চারশত টাকায় উঠতি বয়সের ছেলেদের ভাড়া করে প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে তুলেছে এসব চাদাঁ। বাগুর থেকে দেবিদ্বারগ্রামী ট্রাক, ছোট ট্রাক, পিকাপ সহ বিভিন্ন পন্যপরিবহনকারী যানবাহনগুলো হাবুকে বিট (চাদাঁ) না দিয়ে পার হতে পারে না বাগুরে সীমানা । পিকাপ চালক হানিফ মিয়া জানান ,চাদাঁ না দিয়ে বাগুর সিএনজি ষ্ট্যান্ড পার হয়ে তালতলা এলাকায় ঢুকে যাওয়ার পর দুটি মটরসাইকেলে করে পাচঁজন লোক তাকে মারধর করে সবটাকা নিয়ে যায় অন্যদিকে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের ইজারার কথা বলে প্রত্যেক দিনই সিরিয়াল মাফিক তোলা হচ্ছে এসব চাঁদা। হাবু সরকারের এমন অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারন জনগনও । স্থানীয়’রা জানান ,হাবু সরকারের ভয়ে মুখ খোলে কেউ প্রতিবাদ করছে না। বাগুর সহ আশপাশ এলাকায় মাদক মুক্ত করনের লক্ষে একটি সেচ্ছাসেবী মাদক বিরোধী সংগঠন অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে মোবাইল সেলসম্যান দিয়ে হাবুর কৌশলী মাদক ব্যবসায় ভেস্তে যাচ্ছে সব প্ররিশ্রম। অভিযোগ আছে যে , হাবু স্থানীয় সরকার দলীয় অসাধু নেতাকর্মী ও প্রশাশনের শখ্যতাকে পুজি করে নির্বিঘ্নে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন তার মাদক ব্যবসা। ইয়াবা ও ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদক ফেন্সিডিল, গাঁজা অন্যতম । এ বিষয়ে হাবু সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মাদকের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতি সিএনজি থেকে বিশ(২০) টাকা করে নেওয়ার কথাটি স্বীকার করে । মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে খাল ও ফুটপাথ দখল করে গড়ে ওঠা দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায় হবু সরকার কে মাসিক বা দৈনিক ভাড়া দিয়ে মহাসড়কের ফুটপাথে দোকানদারি করতে হয় তাদের। প্রকাশ্যই হবু সরকারের এসব চাঁদাবাজীর মত গুরুতর অপরাধ আর সুকৌশলে মাদকের কারবার চললেও লিখিত অভিযোগের দোহাই দিয়ে অদৃশ্য কারনে নিরব প্রশাসন! প্রশাসনের নিরব ভুমিকায় অপরাধ ও চাঁদাবাজীতে দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে হবু সরকার। স্থানীয় এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের সুনাম হচ্ছে ক্ষুন্ন। এতোকিছুর পরেও কর্তা ব্যাক্তিদের নিরব ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সুশিল সমাজের সচেতন নাগরিকদের মাঝে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি । লিখিত অভিযোগ করতে বলেন ভুক্তভোগীদের দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এদিকে দেবিদ্বার থানার নির্বাহী কর্মকতা (ওসি)জহিরুল আনোয়ার জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরো পড়ুন: