মহেশপুরে ১০ দিনে প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭১জন ও নিহত-১ জন।
সেলিম রেজা,মহেশপুর (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ডেঙ্গু জ্বরে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার এ এস আই আসাদ-ই-আলমের মৃত্যুর পর থেকে মহেশপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলাবাসী ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে। গত ১০ দিনে গায়ে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনকে যশোরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগী এখনো পাওয়া যায়নি।
এ দিকে মহেশপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তার পাশে ঝোঁপ-ঝাড় এখনো পরিষ্কার করা হয়নি। নাজুক অবস্থায় রয়েছে ড্রেনগুলো। ময়লা মাটি ভরে ড্রেনগুলো থেকে পানি বের না হওয়ার কারণে ড্রেনের মধ্যেই পানি জমে মশার উৎপত্তি হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মিনহাজ আল নোমান জানান, গত ১৮ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত ৭১ জন রোগী গায়ে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যা বেশি।
তিনি আরও জানান, ২-১ দিনের মধ্যে যে সকল রোগীদের গা থেকে জ্বর কমছে না সে সকল রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. নাসির উদ্দীন জানান, যে সকল রোগী প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছে আমরা সর্বপ্রথম সে সকল রোগীদের রক্তের সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রক্তের সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষা করলেই ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া যায়। তবে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ডেঙ্গু জ্বর রোগী পাইনি।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মহেশপুর থানার এ এস আই আসাদ-ই-আলমের করুণ মৃত্যু হয়। এছাড়া মহেশপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনিচুর রহমান ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এখনো।