বুড়িচংয়ে ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
মো: মহিউদ্দন সরকার
বুড়িচংয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোলেমান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর সড়কের ভরাসার বাজারে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ষোলনল ইউনিয়ন এলাকার সহস্রাধিক নারী ও পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভার বক্তব্য বলেন, ষোলনল এলাকার কুখ্যাত ডাকাত সরদার সিরাজ। আন্তঃজেলা ডাকাতের সরদার সিরাজ মেম্বার চান্দিনা নিমসার বুড়িচং সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে বহুবার ধরা পরে জেল খাটা দাগী আসামী। একাধিক ডাকাতির মামলার আসামী এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বুড়িচংসহ কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। গত কয়েক মাস পূর্বে কুমিল্লা র্যাব ১১ কুখ্যাত ডাকাত সিরাজকে চাঁদাবাজির অভিযোগে নগদ টাকাসহ আটক করে।এ ছাড়াও বিকাশ হ্যাক করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। মেম্বার সিরাজের ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করা এবং তার কাছে পাওনা ২ লক্ষ টাকা চাওয়াই কাল হয়ে দাড়ায় সোলেমানের। পাওনা টাকার জন্য বেশ কয়েকবার এলাকায় বিচার শালিস হয়। কিছুদিন পূর্বে টাকার জন্য সিরাজ কে গালাগাল করে সোলেমান। এতেই ছাত্রলীগ নেতা সোলেমান উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সিরাজ। এর জেরে গত সোমবার রাত ১০ টায় ছাত্রলীগ নেতা সোলেমান ও আরজু ভরাসার বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিরাজ ও তার বাহিনীর ডাকাত সদস্যদের নিয়ে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থেকে নিজ বাড়ির সামনে। সোলেমান ও আরজুর ঘটনাস্থল ছয়ঘড়িয়া ঈদগাহ এর কাছে এলে পেছন থেকে ছেনী ও চাপাতি সহ তাদের উপড় অতর্কিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় সিরাজ ও তার লোকজন এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দুজনকে মারাত্বকভাবে জখম করে। সোর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে সিরাজ ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সোলেমান ও আরজু কে উদ্ধার করে এলাকাবাসী প্রথমে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। আহতরা বর্তমানে ঢাকার নদার্ন হাসপাতালে (আইসিইউ) ডাক্তারদের নিবির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত ষোলনল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য সিরাজুল ইসলাম সহ সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী সিরাজ মেম্বারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এবং বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বর্বরোচিত এ হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিবর্তন করেছেন। আসামীরা এলাকায় না থাকায় তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। জড়িতদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন: