গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ রিপোর্টার যমুনা নিউজঃ
বগুড়ায় পুলিশে চাকুরি দেওয়ার নামে এবার এক নারী প্রতারককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,
জেলার শেরপুর উপজেলার ছনকা বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের পুত্র চাকুরি প্রার্থী রবিউল ইসলাম রনি (১৯) কে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারক শেরপুর থানার বিরইল পূর্বপাড়া গ্রামের পিয়ার উদ্দিনের মেয়ে পিঞ্জিরা আক্তার প্রিয়া (৪৬)। ও তার সহযোগী টাঙ্গাইল জেলার ধুপুরিয়া বাজার সংলগ্ন গ্রামের রহিম মাস্টারের পুত্র জাহিদুর রহমান কালু (৪৮)। ৩ তারিখে বগুড়ায় পুলিশ লাইন্সে চাকুরি নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে বলে ১০লাখ টাকা রবিউলের সংঙ্গে চুক্তি করেন প্রতারক পিঞ্জিরা ও জাহিদুর রহমান। এই চুক্তিনুযায়ী প্রথমে তারা অগ্রিম ৫০হাজার টাকা নেয়। বাকিটা লেনদেন হবে চাকুরির পরে। এদিকে গতকাল ৩ জুলাই চাকরি প্রার্থী রবিউল তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে এলে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া (বার) মাইকে ঘোষণা করেন এবার বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরির জন্য মাত্র ১০০টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে এবার পুলিশে চাকুরি হবে। অতিরিক্ত কোন টাকা লেনদেন হবে না। বা কোন প্রতারকের সাথে কেউ চাকুরির জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হবেন না। পুলিশ সুপারের এই বাণী শুনে পুলিশ লাইন্সের কাজ শেষে রবিউল ইসলাম রনি, তার দুঃসম্পর্কের চাচাকে জানান, বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে তো কোন টাকা লেনদেন হবে না। যোগ্যতায় চাকরি হবে। আমি তো যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছি। বিষয়টি তার চাচা ছাবেদ আলী (৪০) শোনার পর পিঞ্জিরা কে টাকা ফেরত দিতে বলে। পিঞ্জিরা তখন টাকা ফেরত দিতে নানা তালবাহানা করে। একপর্যায়ে বিশ্বাসভঙ্গ করলে তারা বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে অভিযোগ করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাৎক্ষণিক পিঞ্জিরা কে আটক করে। এঘটনার বেগতিক বুঝতে পেরে পিঞ্জিরার সহযোগী জাহিদুর রহমান পালিয়েছেন। ডিবি পুলিশ তাকেও খুঁজছে।