ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে কুমিল্লা কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি চলছেই। সেই সঙ্গে বয়ে চলছে দমকা হাওয়া। উদ্বেগ- উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ কুমিল্লার উপর দিয়ে ৮২ কিলোমিটার গতিতে বয়ে গেছে।
শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে বয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হয়। এ সময় বেশ কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। তবে ব্যাপক ক্ষতির শংকা রয়ে গেছে কৃষি ফসলের। শনিবার সকাল ৭টার পরে এ ঝড়ের গতি বেড়ে যায়। এ সময় কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস ঝড়ের গতি রেকর্ড করে। ঝড়ের কারণে বেশ কয়েক স্থানে গাছপালা পড়ে গেছে। কোন জানমালের ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ভূইয়া জানান, সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ৭টা পর্যন্ত যে ঝড়টি বয়ে গেছে তার গতি ছিল ৮২ কিলোমিটার। এখন আবহাওয়া পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র সময় মাঠে পেকে থাকা বোরো ধানসহ শাক সবজির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান, কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দিলিপ কুমার অধিকারী।
তিনি জানান, জেলার কৃষি ফসলের কেমন ক্ষতি হয়েছে তা জানতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের প্রতিবেদন পেলে তারপর মোট ক্ষতির পরিমান জানা যাবে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের অনেকেরই মন খারাপ মাথায় হাত। পাকা বোরো ধান নুয়ে পড়েছে জমিনের পানিতে। কোথাও কোথাও ধান নুয়ে পড়ে জমির সাথে মিশে গেছে পাকা ধানের ছড়া গুলে । কুমিল্লার গোমতী বুড়িচং দেবিদ্বার সদর সহ বিভিন্ন এলাকার চরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা সবজির ক্ষেতে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র ক্ষতচিহ্ন। বরবটি, ঝিঙ্গার মাচা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। চিচিঙ্গা, ঢেড়শ বরবটি, ভুট্টা সহ বিভিন্ন সবজী ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরো পড়ুন: