নিয়ামতপুরে ফসলী জমিতে অবৈধ রাইস মিল।
মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে, ফসলী প্রায় ৫একর জমিতে অবৈধ ভাবে একটি অটো রাইস মিল নির্মাণ করছে একটি অসাধু ব্যবসায়ী মহল । খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার ৩নং ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল ও নাকইল মৌজায় ৫একরের অধিক ৩ ফসলী জমিতে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে গ্রীন অটো রাইসমিল নামে একটি বৃহৎ রাইস মিলের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে । এলাকাবাসী এই অবৈধ রাইস মিল নির্মাণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরও অদৃশ্য কারনে বন্ধ হচ্ছেনা এ রাইস মিলের নির্মাণ কাজ । এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চাঁপা ক্ষোভ । নিয়মনুযায়ী কৃষি জমি সুরক্ষায় ফসলি জমি নষ্ট করে ঐ জমির উপর শিল্প- প্রতিষ্টান, কলকারখানা অথবা পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে এরকম কোন প্রতিষ্ঠান নির্মান করা যাবেনা। ফসলি জমি রক্ষায় সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে যা ভূমি মন্ত্রনালয়ে কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন ২০১৯ এর খসড়া ইতি মধ্যে প্রণয়ন হয়েছে । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কৃষি জমিতে কিছুতেই শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবেনা । (৩১- মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন । প্রধান মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে শিল্পায়ন ছাড়া কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ নেই,আমাদের অর্থনীতি যেহেতু কৃষির উপর নির্ভরশীল সেহেতু কৃষি জমিতে যেখানে সেখানে অবৈধ ভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠুক তা আমরা চাইনা । মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকেই কৃষি এবং ফসলি জমি রক্ষার্থে কৃষি অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্টান কাজ করে আসছে। কিন্তু এই সব আইন এবং বাঁধার উপেক্ষা না করে এমন কি কৃষি অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ন অবৈধ এবং গায়ের জোরে নির্মান হচ্ছে গ্রীন অটো রাইসমিল নামে একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান । ৩নং ভাবিচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান পল্লব,ব্যবসায়ী আইনুল হক সহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বর্গ অভিযোগ করে বলেন, ঐ রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজধানীর মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বিগত ৩ বছর পূর্বে এই মৌজায় এই এলাকার মোঃ সুজনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের উদ্দশ্যে কিছু কৃষি জমি ক্রয় করে। কিন্তু মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ফসল উৎপাদন না করে জমিতে মাটি ভরাট করে গ্রীন অটো রাইসমিল নামে একটি শিল্প প্রতিষ্টান নির্মানের কাজ শুরু করেছেন । যার কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির প্রভাব এবং অন্য সব কৃষি জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যঘাত ঘটতে পারে। এই অটো রাইসমিলের ২০০ গজ দূরেই রয়েছে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্টান । আর এই দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শত শত কমলমতি শিক্ষার্থী । যার শব্দ দূষনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াহেদ উজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান,ফসলি জমি নষ্ট করে কাউকে অবৈধ ভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না । গ্রীন অটো রাইসমিল নামে কোন প্রতিষ্ঠান নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে, উত্তরে উক্ত কর্মকর্তা বলেন, এই নামে কোন প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি আমরা দেইনি । যদি এই ধরনের কোন প্রতিষ্ঠান কেউ নির্মাণ করে থাকে তা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ । ইতি মধ্যে এই অবৈধ গ্রীন অটো রাইসমিলের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে উপ- জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ।
নিয়ামতপুরে ফসলী জমিতে অবৈধ রাইস মিল।
মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে, ফসলী প্রায় ৫একর জমিতে অবৈধ ভাবে একটি অটো রাইস মিল নির্মাণ করছে একটি অসাধু ব্যবসায়ী মহল । খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার ৩নং ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল ও নাকইল মৌজায় ৫একরের অধিক ৩ ফসলী জমিতে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে গ্রীন অটো রাইসমিল নামে একটি বৃহৎ রাইস মিলের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে । এলাকাবাসী এই অবৈধ রাইস মিল নির্মাণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরও অদৃশ্য কারনে বন্ধ হচ্ছেনা এ রাইস মিলের নির্মাণ কাজ । এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চাঁপা ক্ষোভ । নিয়মনুযায়ী কৃষি জমি সুরক্ষায় ফসলি জমি নষ্ট করে ঐ জমির উপর শিল্প- প্রতিষ্টান, কলকারখানা অথবা পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলে এরকম কোন প্রতিষ্ঠান নির্মান করা যাবেনা। ফসলি জমি রক্ষায় সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে যা ভূমি মন্ত্রনালয়ে কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন ২০১৯ এর খসড়া ইতি মধ্যে প্রণয়ন হয়েছে । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কৃষি জমিতে কিছুতেই শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবেনা । (৩১- মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন । প্রধান মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে শিল্পায়ন ছাড়া কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ নেই,আমাদের অর্থনীতি যেহেতু কৃষির উপর নির্ভরশীল সেহেতু কৃষি জমিতে যেখানে সেখানে অবৈধ ভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠুক তা আমরা চাইনা । মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকেই কৃষি এবং ফসলি জমি রক্ষার্থে কৃষি অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্টান কাজ করে আসছে। কিন্তু এই সব আইন এবং বাঁধার উপেক্ষা না করে এমন কি কৃষি অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ন অবৈধ এবং গায়ের জোরে নির্মান হচ্ছে গ্রীন অটো রাইসমিল নামে একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান । ৩নং ভাবিচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান পল্লব,ব্যবসায়ী আইনুল হক সহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বর্গ অভিযোগ করে বলেন, ঐ রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজধানীর মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বিগত ৩ বছর পূর্বে এই মৌজায় এই এলাকার মোঃ সুজনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের উদ্দশ্যে কিছু কৃষি জমি ক্রয় করে। কিন্তু মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ফসল উৎপাদন না করে জমিতে মাটি ভরাট করে গ্রীন অটো রাইসমিল নামে একটি শিল্প প্রতিষ্টান নির্মানের কাজ শুরু করেছেন । যার কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির প্রভাব এবং অন্য সব কৃষি জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যঘাত ঘটতে পারে। এই অটো রাইসমিলের ২০০ গজ দূরেই রয়েছে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্টান । আর এই দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শত শত কমলমতি শিক্ষার্থী । যার শব্দ দূষনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াহেদ উজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান,ফসলি জমি নষ্ট করে কাউকে অবৈধ ভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না । গ্রীন অটো রাইসমিল নামে কোন প্রতিষ্ঠান নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে, উত্তরে উক্ত কর্মকর্তা বলেন, এই নামে কোন প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি আমরা দেইনি । যদি এই ধরনের কোন প্রতিষ্ঠান কেউ নির্মাণ করে থাকে তা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ । ইতি মধ্যে এই অবৈধ গ্রীন অটো রাইসমিলের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে উপ- জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ।