নারকেল গাছ
দিদারুল ইসলাম সুমন
নারকেল গাছ তুমি, বড়ই ভাগ্যবান
প্রভু তোমার মাঝে, রস করেছেন দান।
চারিদিকে লোহার বেড়ি
ভিতরে তোমার কুদরতি পানি!
শিশু কালে টরি তুমি, যৌবন কালে ডাব
বৃদ্ধ কালে নারকেল তুমি, তিন কালের ভাব।
আধুনিক জমানায় মানুষ, ফ্রিজ আবিষ্কার করে
গরম খাবার ঠান্ডা করে, কারেন্টের বলে!
ফ্রিজ আবিষ্কারের বহুযুগ পূর্বেই
নিজ হাতে প্রভু গড়েছেন তোমায় ফ্রিজ বানিয়েই।
শহরের অলি-গলি প্রায় জায়গাতে
তোমায় নিয়ে বসে থাকে হকার দলে।
প্রচন্ড রৌদ্র তাপে, পথিকের গলা যদি যায় শুকিয়ে
তোমার পানি পান করে পথিক, গলা শীতল করে।
জান কি হে নারকেল গাছ? তোমার গুণেরকথা?
বহুগুণে গুনাননিত্ব যে তুমি, লিখছি আমি তাহা!
তোমার মালা দুখন্ড করে
কোরানি দ্বারা, নারকেল কুরিয়ে
রং বেরংগের পিঠা বানায় মা
খেতেই স্বাদ লাগে।
পাটায় বেটে, বর্তা করে, তরকারিতে তোমায় দিলে
তরকারির স্বাদ বাড়ে।
মাঝে মাঝে তোমার ভিতর, ফুসকা পাওয়া যায়
সেই ফুসকা ভাগ করে খাই, পরিবারের সবাই।
তোমায় দিয়ে তৈল বানায়, প্যারাসুট কোম্পানি
মাথার কেশে সেই তৈল মাখে
সব বয়সের নারী!
তোমার দেহ ব্যবহার করে, কৃষক ঘর বানায়
সেই ঘরে কৃষক বসবাস করে, সুখের মোহনায়।