মোহাম্মদ জানে আলমঃ
প্রেম মানেনা কোন বাধা কিংবা বিপর্যয়। এমন কতগুলো ঘটনা আছে যা ডেকে আনে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির থাবা। যেখানে ভুক্তভোগী হতে হয় এ সমাজ, সমাজের নিরীহ মানুষগুলো, সমাজের কিছু ব্যক্তির স্বপ্ন অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়, তথাপি অসহায় কিছু সন্তান মা নামের মধুর ডাক-হাসি থেকে বঞ্চিত হয়। তেমনি এক লোমহর্ষক কাহিনীর জন্ম দেয় নাঙ্গলকোট আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন চাটিতলা গ্রামে। চাটিতলা পশ্চিম পাড়া আব্দুস সাত্তার কবিরাজের ছেলে সাদেকুর রহমান দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকে। বাড়িতে মা ভাই বোনসহ ১৬ বছর বয়সের এক মেয়ে ও ১২ বছরের এক ছেলে কে নিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতে বসবাস করে। প্রতি দুই বছর পর পর ছুটিতে বাড়িতে আসলেও এইবার একটু দেরি হয়ে গেল, তিন বছর পূর্ণ না হলেও প্রায় কাছাকাছি। এরইমধ্যে তা স্ত্রী সাথে অজ্ঞাত এক যুবকের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হতে থাকে। পরিবারের অন্য সদস্যরা জিজ্ঞেস করলে, আত্মীয়-স্বজন এটা সেটা বলে বুঝ দিয়ে পার পেতেন। গত ০২/০৯/১৯ইং সোমবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে, ছেলে শাহিন কে নিয়ে কুমিল্লায় আত্মীয়র বাড়িতে অবস্থান করে। তথাপি- গত ০৫/০৯/১৯ইং ছেলেকে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে উপকূল বাসে একাএকা বাড়িতে ফাটিয়ে দেয় এবং সে আর কোনদিন বাড়িতে আসবে না বলে চলে যায়। ছেলেটি বাড়িতে এসে সেই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিলে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দিশেহারা হয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর্যন্ত সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও কোন সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অতঃপরঃ সাদেকের স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইলে ইমু চেক করলে অজ্ঞাত এই ব্যক্তির সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ অন্তরঙ্গ সম্পর্কে নিমজ্জিত থাকার আলামত পাওয়া যায়। অজ্ঞাত লোকটির ছবি সংযুক্ত ৪/৫টা ইমু আইডিতে ‘শাহিন, হেলালসহ বিভিন্ন নাম পাওয়া যায়। এতে দু’জনের ব্যক্তিগত মন্তব্যসহ অনেক প্রমাণাদি রয়েছে। সবার ধারণা, যে লোকটির সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতেন কিংবা সম্পর্ক ছিলেন তার সাথেই পালিয়ে যায়। যেহেতু তার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও সে বাড়িতে আসেনি এবং কোথায় আছে তাও বলেনি। এখন তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ আছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাংক থেকে নগর টাকা, সাধ্যমত বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা স্বর্ণ-অলঙ্কার নিয়ে যায়। বাড়িতে তাদের মেয়ে ও ছেলে- মা মা বলে, প্রতিনিয়ত অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
আরো পড়ুন: