#জিডি_কি?
জিডি হলো General Diary বা কোনো বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। কোনো থানায় গিয়ে কিছু কিছু বিষয়ে আপনার বক্তব্য লিখিত আকারে জানানো ও থানার অফিসার কর্তৃক এন্ট্রি করতঃ একটি নাম্বার ও তারিখ দিয়েই জি ডি এর প্রাথমিক কাজ শেষ হয়। মূলতঃ যে সব বিষয়ে মামলা করা যায়না সেই সব বিষয়ে জি ডি করতে হয়।
#যেকোন হারানো ও প্রাপ্তি সংবাদ, অগ্নিকান্ড, দুর্ঘটনা, কলেরা, ডায়রিয়া বা অন্যান্য রোগের মহামারি, কেউ হারিয়ে গেলে বা কাউকে পাওয়া গেলে, মূল্যবান কোন কিছু যেমন: সার্টিফিকেট, দলিল, পাসপোর্ট, লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র, মূল্যবান রশিদ, চেকবই, ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন, স্মার্ট কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি হারিয়ে গেলে, কারো ভূমি, বাড়ি বা স্থাপনা ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করতে চাইলে বা করলে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সংক্রান্ত কোনো খবর পেলে, কোনো অপরাধ বা অপরাধীর তথ্য পেলে সংশ্লিষ্ঠ থানায় গিয়ে জিডি করতে পারবেন।
#সাদা কাগজে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি-কে সম্মোধন করে থানার ও জেলার নাম লিখতে হয়।
কি বিষয়ে জিডি করবেন তা বিষয়ে লিখতে হয়।
আবেদনে আপনার নাম, বয়স, পিতার নাম, মাতার নাম এনআইডি/স্মার্ট কার্ড নাম্বার, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ও কি কারণে জিডি করবেন তার পূর্ণাঙ্গ বিষয় উল্লেখ করতে হয়। যেমন মোবাইল হারিয়ে গেলে:
কি মোবাইল,
মডেল নম্বর,
কোন সিম ছিল তার নম্বরসহ,
আইএমইআই নম্বর যদি জানা থাকে,
কোন তারিখে, কোন সময়ে এবং কোন স্থান হতে কিভাবে হারিয়ে গেছে (হারানোর স্থানটি অব্যশই ওই থানা এলাকার হতে হবে)
খুঁজে পাওয়া যায়নি কথাটি উল্লেখ করতে হবে,
যদি সাক্ষী থাকে তবে নাম উল্লেখ করবেন। না থাকলেও সমস্যা নাই।
#জিডি’র শেষে আপনার স্বাক্ষর করে , পূর্ণ নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা লিখতে হবে।
জিডি হাতে বা কম্পিউটারে বা অন্য যে ভাবেই লিখুন তা দুই কপি করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার থানাগুলোতে জিডি এর ছাপানো ফর্ম আছে যা ডিউটি অফিসার সরবরাহ করেন ও জিডি করতে সহায়তা করেন।
#ডিউটি অফিসার স্বাক্ষর করার ও জিডি নাম্বার দেয়ার পরে এক কপি থানায় জমা থাকবে আর অন্য কপি গ্রাহক পাবেন ও যত্ন সহকারে তা সংরক্ষণ করবেন। এটা ভবিষ্যতে সাক্ষ্য হিসাবে আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে যদি প্রয়োজন হয়। এছাড়া হারানো সার্টিফিকেট বা ডকুমেন্টস পুনরায় নুতুনভাবে তুলতে গেলেও জিডি কাজে লাগে।
জিডি’র প্রয়োজনীয়তা অনুসারে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা ও তদন্তের প্রয়োজন হলে তা থানা হতে করা হয়।
#জিডি ও মামলা এক নয়। দুটোই ভিন্ন জিনিস। জিডি না লিখতে পারলে বা না জানলে থানায় কর্মরত ডিউটি অফিসারকে বললে তিনি আপনাকে জিডি করতে সহযোগিতা করবেন।