মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ
রাজধানীর তুরাগের অধিকাংশ রাস্তাঘাট বেহাল দশায় জন চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে । সামান্য বৃষ্টি হলেই অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় । ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হাঁটাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে । ফলে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে । স্থাানীয়রা জানান, তুরাগের সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়ন বর্তমান ঢাকা উত্তর সিটির ৫২,৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ড, এই তিনটি ওয়ার্ডে ছোট-বড় ৩৩টি গ্রাম রয়েছে । এই ৩৩টি গ্রামের জনগণের চলাচলের জন্য পাকা-আধাপাকা ও অসংখ্য কাঁচা রাস্তা রয়েছে । ভাঙ্গা রাস্তা গুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক, বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজি-বাইকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে । এয়ারপোর্ট রানওয়ে-বাউনিয়া এলাকার রাস্তাঘাটটের অবস্থাাও খারাপ
এ অঞ্চলের খানাখন্দের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। রাস্তায় দীর্ঘ রিক্সার লাইন লেগেই থাকে। সেই কারনে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট হয় আর সড়ক দুর্ঘটনা এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা । সরেজমিনে দেখা যায়, বাউনিয়া বটতলা থেকে মিরপুর যাওয়ার রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি অনেক স্থাানে গর্ত হয়েছে। এমন চিত্র দেখা যায় তুরাগের রানাভোলা,কামারপাড়া , ভাটুলিয়া, ধউর, আশুতিয়া, রাজাবাড়ি, ফুলবাড়িয়া, সিরাজ মার্কেট, ধরঙ্গার টেক, নয়ানগর, চ-ালভোগ, ডিয়াবাড়ী, নলভোগ, পাকুড়িয়া, আহালিয়া, দলিপাড়া, বাউনিয়া, উলুদাহা, বাদালদী ও তুরাগের থানা এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায়। দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এসব রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী । এই তিনটি ওয়ার্ডে রয়েছে এলাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত তিনজন কাউন্সিলর, একজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর তা ছাড়া উত্তর সিটির নগর পিতা তো রয়েছেন ।
এ এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত হলেও এখানে তেমন নাগরিক সুবিধা নেই। এখানকার অধিকাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের । রাজধানী সংলগ্ন অল্প টাকায় বাড়ি ভাড়া পেয়ে এ এলাকাটিতে আশ্রয় নেন স্বল্প আয়ের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এ এলাকার উন্নয়নের তেমন উদ্যোগ নেয়া হয় না । পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই এখানকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। কেউ কেউ প্রয়োজনের তাগিদে বাড়ির প্রবেশদ্বার উঁচু করলেও ভেতরে পানি জমায় বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে পানি সরাতে হয়। কামারপাড়া এলাকার অটোরিকশা ড্রাইভার সান্ত মিয়া বলেন, তুরাগের প্রধান সড়কটি এতটাই খারাপ যে বিভিন্ন স্থাানে বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কামারপাড়া থেকে ধউর বেড়ীবাঁধ এক কিলোমিটার রাস্তা পার হতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। তিনি এসব সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন । এ বিষয়ে সংরক্ষিত ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর কমলা রানী মুক্তার কাছে যানতে চাইলে তিনি জানান, ইতি মধ্যে উত্তর সিটির নগর পিতা আমাদের মেয়র মহোদয় আমার ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন, সাধারন জনগণের সাথে কথা বলেছেন এবং তিনি নিজ চোখে দেখেছেন এই এলাকার রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন সমস্যা । আমার এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার ড্রেনেজ ব্যাবস্থাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে
চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে করে দ্রুত এই এলাকার উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয় ।