মনজুরুল হাসান. বিবিসিবার্তা২৪ ডিমলা উপজেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমায় ৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষনের সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। এতে করে তিস্তা নদীর আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি স্লুইস গেট খুলে রাখা রয়েছে। অপর দিকে টানা বৃষ্টির পানিতে আসেপাশের এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া গিয়ে সরে জমিনে জানা যায় যে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ১০ টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি কমে এলেও দুপুর ১ টায় নগাদ পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত অব্যাহত রয়েছে। এতে তিস্তা নদীর অববাহিকার ডিমলা উপজেলার ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, কিসামত ছাতনাইনচর,বাইশপুকুর, ছোটখাতা, ছাতুনামার চর, ভেন্ডাবাড়ির চর, কালীগঞ্জ, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, চরখড়িবাড়ি,বানপাড়া ছাড়াও আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারীর পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা, চরদহগ্রাম, হাতীবান্ধা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তিস্ত নদীপারের লোকজন জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বুধবার রাত ১২টা থেকে নদীর পানি হুহু করে বাড়তে থাকে। সকালে কিছুটা কমলেও দুপুরের দিকে নদীর ঢল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসময় নদীর আশেপাশের চর গ্রামগুলোতে বানের পানি ঢুকে প্লাবিত করছে। আজ বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা নগাদ পানি কিছুটা কমে আসে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের সবকটি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।