টাঙ্গাইল: চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষনের ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নের সূবর্ণতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্কুলছাত্রীটি বর্তমানে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মামলা করার চারদিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ধর্ষনের শিকার স্কুলছাত্রী জানায়, গত এক বছর যাবৎ দেলদুয়ার উপজেলার ব্রাক্ষনখোলা পাশের গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফের সাথে মোবাইল ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার ২৯ মার্চ রাতে মোবাইল ফোনে জরুরি কথা বলার অজুহাতে তাকে বাড়ির বাইরে যেতে বলে। বাইরে গেলে আরিফ তাকে প্রথমে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আরিফ ও তার বন্ধু মুখ চেপে ধরে আরিফদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে আরিফের পরিবারের সদস্যরা নিজের ছেলেকে বাঁচাতে ধর্ষিতাকে মারধর করে পুলিশে দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়েটির বাবাকে ফোন করলে মেয়ের বাবা তাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানায় ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা ধর্ষক আরিফকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, গত শুক্রবার ১ এপ্রিল ৬ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। এখনও কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নূর মোহাম্মদ জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ায় ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: