-
- Feature, অপরাধ, অর্থনীতি, আদালত, আন্তর্জাতিক, ইসলামিক, বাংলাদেশ, রাজনীতি
- ছাত্রলীগের আল নাহিয়ান নিরবের অভিনব কায়দায় ধর্ষণ
- আপডেট: September, 12, 2019, 2:52 pm
- 657 View
ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টায় হাই কমান্ডে চলছে তোষামতি, ইউপি চেয়ারম্যান এর স্ত্রী মিতুর বাসার সাবলেট ভাড়াটিয়া মীরানার সাথে বখাটে-নেশা আসক্তদের আতাত। প্রায় সময় বিভিন্ন মেয়ে এনে অসামাজিক কাজ এবং ধর্ষণে সহায়তা। একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানায় মামলা
শের ই গুলঃ
সারাদেশে ধর্ষণে সয়লাব ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এই নির্মম ধর্ষণের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের মত আইন কার্যকরী করেছে। সেখানে ধর্ষকরা আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। দক্ষিণখান থানার মোল্লারটেক উদয়ন স্কুল রোডে হাজী ইলিয়াসের বাড়ির ভাড়াটিয়া স্ত্রী এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছে শেখ ফরিদ, পেশায় রড মিস্ত্রী। বড় মেয়ে ফারজানা আহমেদ (১৪) কসাই বাড়ি সানফ্লাওয়ার মডেল স্কুলে ১০ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে, ফেসবুকের সুবাদে আল-নাহিয়ান নিরব (দক্ষিণখান ৪৮নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক) এর সাথে পরিচয় হলে প্রেমে পরিনত হয়, এই সুবাদে ফারজানাকে কৌশলে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৩১ তারিখ-১১-০৯-২০১৯।
গত ০৮-০৯-২০১৯ তারিখে ১০.৩০ ঘটিকায় ধর্ষক নিরব ফারজানাকে ফোনে দেখা করতে বলে। ফারজানা নিরবের কথায় কেসি হাসপাতালের সামনে ছোট ভাইকে নিয়ে দেখা করতে গেলে নিরব কৌশলে তার বানানো ফুফু মীরানার বাসায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ফারজানাকে তার ছোট ভাইয়ের সামনে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে ঐ বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরার ইউপি চেয়ারম্যান মাফুজুর রহমানের স্ত্রী মিতুর সাথে কথা বললে জানায় ঘটনার দিন আমরা কেউ বাসায় ছিলাম না। মীরানার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মীরানা আমার বান্ধবি। আমরা এই মাসেই ঢাকায় নতুন এসেছি। আমার পরিবারে সংখ্যায় দুইজন হওয়ায় মীরানার আমাদের বাসার ভাড়া নেওয়ার কথা বললে আমি তাকে ভাড়া দেই। মীরানার আগে পার্লারের ব্যবসা ছিল, স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ায় আমার বাসায় একা ভাড়া থাকে। তার গ্রামের ভাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানার গজিনপুর ইউনিয়ন বলে জানায় প্রতিবেদককে।
মীরানার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে উক্ত বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী জামিল ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন আমার বাড়িওয়ালা আবুল হাসেম উপপরিচালক (খামার বাড়ি)। তিনি এখানে থাকে না, আমি এ বাড়ি দেখাশুনা করি।

এলাকাবাসী জানায়, মীরানার সাথে এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে সর্ম্পক আছে। তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছেলের সাথে দেখা যায়। আমাদের ধারনা সে খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত।
এ ব্যাপারে ফারজানার বাবা বলেন, আমার এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে আমি দারিদ্রে জীবনযাপন কাটাচ্ছি। আমি আমার সুষ্ঠু বিচার চাই।
আল নাহিয়ান নিরব দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম লিটনের ভাগিনা। লিটনের সাথে যোগাযোগ করলে তাকেও পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিগত কয়েক মাস আগে দক্ষিণখান কেসি হাসপাতালের সামনে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাস্থলে আল নাহিয়ান ছিল বলে এলাকাবাসী জানান।
এদিকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিম আহমেদ বাপ্পির বিরুদ্ধে। নিরব দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের -৪৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাধে সভাপতি বাপ্পি তাকে এ ব্যাপারে সহযোগীতা করছে বলে জানা যায়।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ফারজানার সাথে বিগত দিনে সভাপতি শামিম আহমেদ বাপ্পির সর্ম্পক ছিল। গত ৫/৬ মাস পূর্বে বাপ্পি সর্ম্পক অস্বিকার করলে ফারজানা রেললাইনের উপর আত্মহত্যার করতে গেলে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে বাপ্পী কৌশলে নিরবের সাথে ফারজানার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলার ব্যাপারে সহযোগীতা করে।

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিম আহম্মেদ বাপ্পির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা আর নিরব আমার লোক না। দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম লিটন ও সাবেক সহ সভাপতি হালিমের লোক, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সারোয়ার আলম জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
আরো পড়ুন: