গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের এক মানবিক অবদান : পলাশবাড়ির ধানক্ষেতে বৃষ্টিতে ভেজা অবস্থায় কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক শিশুর দায়িত্ব নিলেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা………………………………………………. আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ ধানক্ষেতে বৃষ্টিতে ভেজা কুড়িয়ে পাওয়া অজ্ঞাত কুলশীল উদ্ধার করা শিশুটিকে নিঃসন্তান দম্পতিকে দত্তক দিয়ে এক মানবিক অবদান রাখলেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ১৬ এপ্রিল ভোরে পলাশবাড়ী উপজেলার গোডাউন বাজার এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্হায় বৃষ্টিতে ভেজা অসুস্থ শিশুটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় হরিণাবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারা তাৎক্ষনিকভাবে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটির চিকিৎসা সেবাসহ তার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া। এসময় শিশুটির জীবন রক্ষায় শহরের প্রফেসর কলোনির খন্দকার শরীফ আহম্মেদের স্ত্রী শামীমা আক্তার সুমনা টানা ছয়দিন ধরে তাকে বুকের দুধ পান করানোসহ মাতৃস্নেহ দিয়ে আসছিল। রোববার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া জানান, শিশুটি উদ্ধারের বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও তার পরিচয় বা স্বজনদের সন্ধান পাওয়া যায় নি সে জন্য শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহী এক দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দেয়া হয়েছে। দত্তক গ্রহীতা পরিবারের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গাইবান্ধার সরকারি দপ্তরের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দম্পতি ছেলে শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছেন। জন্মদিয়েও শিশুটির পিতা-মাতা সন্তানকে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে ফেলে গেলেও পুলিশ এবং দত্তক গ্রহীতা দম্পতি অসহায় ওই শিশুটির জীবন রক্ষা ও প্রতিপালনে এক মহান ভূমিকা পালন করেছেন। যা স্থানীয় জনমনে সার্বিক প্রশংসা অর্জন করেছ। সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান, পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিফজুর আলম মুন্সিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।