কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ দালাকদের আখরা।
মোঃ আবু রায়হান
কুামিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশ কয়েকবার ছোট বড় নানা প্রকার দূর্নীতি ও দালালি চখে পরার পর (TIB) কে ছবি সহ কিছু অভিযোগ দেই; উক্ত হাসপাতালের সহস্ত অভিযোগ বক্সে। কিন্তু এতে কোন অভিজান বা তদারুকি হয়েছিল কিনা আমার তা জানা নেই! তবে যতবার-ই হাসপাতালে যাই দালালদের একই চিত্র বার- বার চখে পরে।
চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর পরিমান বেশী হওয়ায় দালালরা সুযোগের সন্ধানী হয়ে উঠে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে; কিছু লোক যখন চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে অবগত না হয়ে কিংবা লাইনে দাড়িয়ে বিরক্ত বোধ করে। তাদের টার্গেট করে আস্তে করে পাশে ডেকে নিয়ে কম সময়ে সবার আগে টিকেট এনে দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করে। আর বলে এত কষ্ট করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়াবেন কেন?তাহার চেয়ে বরং টাকা দেন টিকেট এনে দেই! দালালের এ গুছালো কথার ফাদে পরে অনেকেই ১০ টাকার টিকেট ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত দামে ক্রয় করতে বাধ্য হয়।
তবে তারা যার কাছ থেকে যেমন পরিমান টাকা নিতে পারে; এতে ক্ষতি কি তাদের লাভের একটা সামান্য অংশ ভেতবের মহলের কর্মকর্তাদের পকেটে ঢুকে।তা না হলে চিপ ছাড়া বরশি দিয়ে মাছ ধরা দুস্কর। ভেতরের কর্মকর্তারা নামহীন শুধু সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া একটি টিকেট দালালদের প্রদান করে; পরে দালালরা আড়ালে গিয়ে রোগীর নাম ও বয়স রোগীকে জিজ্ঞাসা করে লিখে দেয়।
ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে (PAKU) তথা অপরেশনের পূর্বে বিজ্ঞ মেডিকেল অফিস্যার দ্বারা কাগজপত্র শেষ যাচাই ও সত্যায়ন পর্যন্ত দালালের মাধ্যেমে করা সম্ভব।
অভিযোগ রয়েছে,
অপরেশনের ব্লগ তথা অজ্ঞানের ক্ষেত্রে রয়েছে কতিপয় সনদ বিহীন কিছু কর্মকর্তা ; যারা ডাক্তারদের সহযোগী হিসেবে অপরেশন থ্রিয়েটারে কাজ করে থাকে। বাস্তবে তাদের কিছু রুপও চখে পড়েছে। আর এসব সহযোগীদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মৌলিক চিকিৎসা সেবাকে ব্যাবসা হিসেবে কাজে লাগানো।