কুমিল্লায় কাজির বিরুদ্ধে ১৭ বছরের কিশোরের বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করারঅভিযোগ
মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক, কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভোলইন উত্তর ইউপির কাজী মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক কিশোরের বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, বড় তুলা গ্রামের মো. মুক্তার হোসেনের ছেলে শাহপরান (১৭) এর সাথে একই বাড়ীর আবুল হাসেমের মেয়ে ওমান প্রবাসী বিউটি বেগমের বিয়ের খবর জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বিউটি গত ২০১৩ সাল থেকে ওমানে শ্রমিকের কাজে কর্মরত ছিলেন। গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সে ওমান থেকে বাড়ী ফিওে আসে। এই বিষয়ে মুক্তার হোসেন অভিযোগ কওে বলেন, তার ছেলে শাহ পরানের বয়স ১৭ বছর। বিউটির বয়স ২৭ বছর। শাহপরান অভিযোগ করে বলেন, বিউটির দুলাভাই সিরাজ সহ স্থানীয় কিছু লোকজন ২৬ জুনে তাকে রাস্তা থেকে ধরেনিয়ে ৩ নং ভোলইন উত্তর ইউপির কাজী আবুল কালামের অফিসে নিয়ে জোরপূর্বক ৪ লাখ টাকা কাবিনে রেজিস্ট্রি করেন। এই ব্যাপারে মুক্তার হোসেন আরও বলেন, ছেলের বয়স যেহেতু অপ্রাপ্ত, তাই এইটা বাল্য বিয়ে। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিয়ে মেনে নিতে পারছিনা। ছেলে মেয়ে একই বাড়ীর। কিন্তু কাজী মোটা অংকের ঘুষ গ্রহন করেন কনে পক্ষের কাছ থেকে। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না দেখে টাকার বিনিময় বাল্য বিয়ে করান। মুক্তার হোসেন তার ছেলে শাহ পরানের কাবিন বাতিলের জন্য কাজির নিকট গেলে কাজি বলেন, তার নিকট লিখিত আবেদন করার জন্য। পরেডাক যোগে চলতিমাসে ১৮ ও ২৩ জুলাই লিখিত আবেদন করার পরও কাজি কাবিন নামা বাতিল করেনি।
এই বিষয়ে কাজির বিরুদ্ধে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। কনে বিউটির বাবা আবুল হাসেম বলেন, ছেলে মেয়ে পালিয়ে গিয়ে ৪ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেছে। ভোলইন ইউপির কাজী আবুল কালাম বলেন, বিয়ের সময় সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার কারনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছি। কিছুদিন পর সফিক নামে এক লোক এসে শাহপরানের জন্মনিবন্ধন দেখায় ওই খানে তার বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ায় কনের পরিবারকে বলেছি, যদি কাগজপত্র গরমিল থাকে তাহলে কনে পক্ষকে কাবিননামা দেয়া হবেনা।