রবিউল হোসাইন সবুজ,লাকসাম প্রতিনিধিঃ
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভারেল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ টি ককটেল, শিবিরের প্রচার লিফলেট, ব্যানার-ফেস্টুন উদ্ধার করেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভারেল্লা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের কাছে খবর আসে উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভারেল্লা শাহ ইসরাইল কামিল মাদ্রাসার পিছনে একটি ঘরে শিবিরের একদল নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছে। এমন খবরের ভিত্তিতে অত্র থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিবির কর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে আমি (ওসি) থানার অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে এএসআই দেলোয়ার, কন্সটেবল মাহবুবসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। জবাবে পুলিশও গুলি চালালে শিবির কর্মীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক শিবির কর্মীকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ৯ টি ককটেল, বিপুল পরিমান লিফলেট, ব্যনার, ফেস্টুন উদ্ধার করেছে পুলিশ। অহত পুলিশের সদস্যরা উপজেলার কাবিলা ইস্টান মেডিক্যাল কলেজ এবং কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।’ এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। অপর ঘটনাটি ঘটেছে, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন থেকে ৩ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ২৭সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে গোবিন্দপুর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদে গোপন বৈঠক চলাকালে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হাস্তান্তর করে। স্থানীয়রা জানান, ওইদিন ভোরে ফজরের নামাজ শেষে গোবিন্দপুর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদে এই গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে শিবিরের সদস্য রবিউল হোসেন সবুজ, একই এলাকার মৃত. আবুল হাসেম মেস্ত্রীর ছেলে নাছির উদ্দিনসহ প্রায় ২০ জন যুবক মসজিদে একত্রিত হলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দৌঁড়ে পালাতে থাকে। এসময় ৩জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের শিবিরের সদস্য সংগ্রহের কিছু বই সহ স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে থানা হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে লাকসাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন বলেন, স্থানীয় জনতা মসজিদ থেকে তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন: