কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মসজিদ উন্নয়নে বাধা প্রদানের অভিযোগ!
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ১২ নং হেসাখাল ইউনিয়নের কুরকুটা গ্রামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকা-ের কারণে ওই গ্রামে একাধিকবার পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুরকুটা গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০), আব্দুল মন্নান (৫৫), আহমদ উল্লাহ (৪৫), মহিন উদ্দিন (৩৫), মৃত ওয়ালী উল্লাহর ছেলে ছায়েদ আহমদ, আব্দুল গনির ছেলে আবুল কাশেম, আব্দুল কাইউমের ছেলে শাফায়াত গংরা কুরকুটা উত্তরপাড়া দুলা মিয়া লতিফিয়া বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
তারা নাঙ্গলকোট থানা প্রশাসনসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৪ জুন রাতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল খায়েরের খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় আবুল খায়ের বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে এসআই শফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে কুরকুটা গ্রামের আসাদ আলীর পুত্র দুলা মিয়া ও দুলা মিয়ার পুত্র আব্দুল লতিফ ৩৮ শতক ভূমি ওয়াকফ করেন উক্ত মসজিদের জন্য।
পরবর্তীতে মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র মাওলানা আবুল খায়ের আনোয়ারী আরো ২ শতক ভূমি উক্ত মসজিদের নামে ওয়াকফ করেন। ৪০ শতক ভূমির উক্ত ওয়াকফ ষ্টেট পরিচালনা নিয়ে স্থানীয়ভাবে জয়নাল গংদের সাথে ভূমি ওয়াকফদাতার ওয়ারিশদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওয়াকফ ষ্টেটের আইন ও দলিলের শর্ত মোতাবেক মোতাওয়াল্লীর মাধ্যমে মসজিদ পরিচালিত হচ্ছে এবং গ্রামবাসী সবাই একমত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ১২ নং হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ বলেন, ‘উক্ত মসজিদ পরিচালনায় নেতৃত্ব, কতৃত্ব ও ইমাম নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।
বিষয়টি নিরসনের জন্য চেষ্টা করছি।’ ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার অহিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের আনোয়ারী বলেন, ‘আমি এবং আমার পূর্ব পুরুষেরা উক্ত মসজিদের জন্য ভূমি দান করেছি। নিয়ম মোতাবেক আমরাই মোতাওয়াল্লী হবার কথা এবং গ্রামবাসীকে নিয়ে আমি উক্ত মসজিদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছি।
ভূমি দাতাদের ওয়ারিশ নয় এমন কেউ মসজিদের মোতাওয়াল্লী হওয়ার নিয়ম নেই বলেও তিনি জানান। জয়নাল গংরা বহুবছর মসজিদ পরিচালনা করেছে। বিতর্কিত কর্মকা-ের কারণে তারা এলাকায় সমালোচিত হয়ে এখন মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসনকেও বিভ্রান্ত করছে।’___ বিজয় টিভি কুমিল্লা ।
আরো পড়ুন: