এম এ কাদের অপুঃ
কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতারক ও ধোকাবাজ আবদুল মান্নান মজুমদার ওরফে কিডনী মান্নানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কুমিল্লার বিভিন্ন ব্যবসায়ী থেকে অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা।
মজুমদার বংশের ছেলে হয়েও আজ বাটপারি আর ধোঁকাবাজির প্রথম স্থান অতিক্রম করে এখন গা ডাকা দিয়ে কয়েকটা মামলার ওয়ারেন্টের আসামী হয়ে দিনের পর দিন বাটপারি করে বেড়াচ্ছেন এই মান্নান।
কুমিল্লা বিশ্বরোডের রামপুর গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে এই মান্নান, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশেই তার বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বিশাল কাজ কারবার। বিভিন্ন কোম্পানীর মালিকদের সাথে প্রতারনা করে আজ সে হয়ে উঠেছে দেশের একজন শিল্পপতি।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা সহ সারা দেশের অনেক জায়গাতেই আছে তার নামে বেনামে জায়গা জমিন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আর কোন যোগাযোগ করেনা, এমন কি তার মায়ের বিরুদ্ধে ও মামলা করেছে এক ভুক্তভুগী।
কুমিল্লার আদালতে ও তার বিরুদ্ধে কয়েকটা মামলা আছে। বর্তমানে সে সরকার দলীয় কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার কার্যক্রম।
আইন কে তার কিনা গোলাম মনে করে তার মন গড়া মত প্রতারণা চালিয়ে দিশেহারা করে দিচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানীর লোকজনদের।
তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে জেনেও কিছুই করতে পারছেন না কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে সজীব গ্রুপ ও সোনালী ব্যাংকের তথ্য থাকলেও ওসি মামুনুর রশিদ জানান আমার হাতে কোন ওয়ারেন্ট আসেনাই, আসলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
অভিযুক্ত মান্নান প্রকাশ কিডনী মান্নানকে তার রামপুরের বাড়িতে খবর নিয়ে তাকে পাওয়া না গেলে তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারে কথা বলার চেষ্টা করলে তার ব্যবহারিত ২টি নাম্বারের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
এমন প্রতারক কে অনতিবিলম্ভে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সর্বমহলের জোরালো দাবী।
আরো পড়ুন: