কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার রামু খুনিয়াপালং ১নং ওয়ার্ডের ঢালার মুখ স্টেশনে কীটনাশক দোকান কে সাইনবোর্ড বানিয়ে মাদক সম্রাট আব্দুল হক মনু, নীতি নৈতিকতা বিহীন ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক নেতা। মরণব্যাধি করোনাভাইরাস নামক মহামারিতেও থেমে নেই প্রাণঘাতী ইয়াবা। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো ট্যালারেন্সের মধ্যেও থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই। মায়ানমার সংলগ্ন সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে রয়েছে দেশের যে কোন জেলার চেয়ে মাদক ক্রেতা বিক্রেতার হিড়িক।কক্সবাজারের আট উপজেলার মধ্যে রামু উপজেলাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। রামুর স্হানীয় প্রশাসন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় আনা হলেও আসছে না (মনু) এবং তার সহযোগীদের নাম । তবে গভীর জলের মাছ হয়ে গোপনে দোকানদার পরিচয়ের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে এমন কিছু লোকজন। তারই ধারাবাহিকতায় আব্দুল হক (মনু) ও তার ছোট ভাতিজা ওবাইদুল হক সহ তাদের পরিবারটি সিন্ডিকেট করে রমরমা ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ। বেশ কিছু মাস পূর্বে ১৫ অক্টোবর ২০২০শে তার ছোট ভাতিজা সিরাজুল হক বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র্যাব ৩ ঢাকায় আটক হলেও নাম আসেনি আসল মালিক মনুর, কীটনাশক ব্যবসাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এবং তার ভাতিজাদের ড্রাইভার বানিয়ে প্রশাসনের নাগালের বাহিরে। অনুসন্ধানে জানাগেছে,রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের থোয়াইংগা কাটা এলাকার নুরুলহক (নুরুর) ছোট ছেলে সিরাজুল হক (মনুর) ২২ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে র্যাব ৩ হাতে লবন বোঝাই কার্গো গাড়ি সহ আটক হলেও বেছে যায় মনু, গাড়ি নং চট্রমেট্রো,ট ১১,৭১৩২ । গোফন সূত্রে জানাযায়, সিরাজুল হক কারাগারে থাকলেও থেমে নেই (মনুর) মরননেশা ইয়াবা পাচার, তার মেজো ভাতিজা ওবাইদুল হক ড্রাইভার গাড়ি নং চট্রমেট্রো,ট ১১,৮৩ ০৭। দুই ভাতিজা কে দুই গাড়িতে মনুর নিজ এলাকা থেকে বহন করে নিয়মিত পাচার করে আসছিল মাদকের চালান, একপর্যায়ে স্হানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে তারা কৌশলে অন্যান্য জায়গা থেকে এখনো সবচেয়ে বড় চালান পাচার করে যাচ্ছে এমনটাই বল্লেন স্হানীয়দের অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,বিগত ৩ বছর আগেও বেকার যুবক হিসেবে পরিচিত ছিলো আব্দুল হক( মনু) ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় কীটনাশকের দোকান করলেও আর্থিক ভাবে তেমন কোন স্বচ্ছলতা আসছিল না কিছুতেই। মাত্র ২/৩ বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক ও ঢালারমুখ স্টেশনে অনেক দোকানের দাতা হয়ে যায়, তাদের এখন নামে বেনামে জায়গা সম্পত্তি ও বিভিন্ন কোম্পানির একাধিক দামী মোটরসাইকেল ও সিএনজির মালিক বনে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে কানাঘুষা সহ স্থানীয়দের মুখে মুখে আলোচনার শীর্ষে আসে মনু তার ভাতিজাদের নাম। সচেতন মহলের অভিমত ও স্হানীয়দের দাবি ইয়াবা ব্যবসা রোধে এসব চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার মিশন বাস্তবায়ন কিছুতেই সম্ভব না।
আরো পড়ুন: