ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে নির্বিঘ্নে করতে পুলিশের কার্যক্রম:
অন্যান্য সময় চাঁদপুর লঞ্চঘাট দিয়ে প্রতিদিন বিশ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করলেও ঈদের দুই/তিন আগে থেকে লাখো যাত্রী আসতে থাকে ঢাকা সহ সারা দেশ থেকে। চাঁদপুর ছাড়া ও পাশ্ববর্তী লক্ষীপুর, নোয়াখালী জেলার লাখো মানুষ এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
ঈদের সময় এই লাখো যাত্রীর চাপ সামাল দিতে অমানুষিক পরিশ্রম করে পুলিশ! সিএনজি ড্রাইভারের দৌরাত্ন বন্ধ করা, রাস্তা যানজট মুক্ত রাখা, জায়গায় জায়গায় গরুর হাটে রাস্তা দখল না করে সেটি নজরদারি করা, লাখো মানুষ যেন রাতের বেলায় ছিনতাইকারী ও পকেটমারের খপ্পরে না পড়ে সেটি নিশ্চিত করার এক মহাযুদ্ধ একমাত্র পুলিশ ই করে!
বাড়তি ভাড়া:
এ সময় বাড়তি ভাড়া আদায়ের এক মহোৎসব শুরু হয়ে যায় পরিবহণ সেক্টরে । তবে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এ থেকে অনেকটাই ব্যতিক্রম । চব্বিশ ঘণ্টা জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, ডিবি এবং ট্রাফিক পুলিশ চমৎকার সমন্বয় করে লঞ্চঘাট সিএনজি ড্রাইভারদের বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করেছে! শুধু তাই নয়, জেলার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে যেতেও পুলিশ তাদের বাধ্য করছে! বাড়তি ভাড়া চাইলে এবং যেকোনো গন্তব্যে যেতে রাজি না হলে তাদের কে লঞ্চ ঘাটের পার্কিং এ ঢুকতেই দিচ্ছে না পুলিশ । শহরের মোড়ে বড় LED মনিটরে সবার উদ্দেশ্যে এ সংক্রান্ত সতর্ক বাণী এবং 999 এ কল করে সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ ।
যানজট: পুরো জেলার সকল সিএনজি যাত্রী পরিবহণের জন্য লঞ্চঘাটে আসে, তার উপর হাজার হাজার অটোবাইক, জায়গায় জায়গায় গরুর হাট বসেছে, ঢুকছে গরু বোঝাই ট্রাক, সবকিছু মিলিয়ে পুরো শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়ার কথা । কিন্তু চাঁদপুর পুলিশ প্রশাসন সেটি হতে দেয়নি। সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব জিহাদুল কবির বিপিএম পিপিএম এর নির্দেশে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর পরিকল্পনায় শহরের যানজট ছিল নিয়ন্ত্রণে ।
নিরাপত্তা: লঞ্চ ঘাট সহ পুরো শহরে পুলিশের টহল ছিল সার্বক্ষণিক যাতে করে যাত্রা পথে ঘরমুখো মানুষ ছিনতাইকারী কিংবা ডাকাতির শিকার না হন।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
আরো পড়ুন: