ঈদের আগেই প্রত্যাহার হচ্ছে ছাত্রদলের ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ!
১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল
মোঃ ইকবাল হোসেন (সোহাগ):
অবশেষে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ১৪ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে।জানা যায় ওইদিন কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সংগঠনটির আগামী দিনের নেতৃত্ব বাছাই করা হবে।
শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে নেতৃত্ব বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা সার্চ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই বৈঠক হয়।
সার্চ কমিটিতে থাকা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কাউন্সিল হবে। তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদলের কাউন্সিল করবো, যাতে করে সুন্দর ও সফল হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্চ কমিটিতে থাকা বিএনপির সম্পাদক মণ্ডলীর এক নেতা বলেন, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারেক রহমান। তবে ঈদের পর সংবাদ সম্মেলন করে এই তারিখ ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সরাসরি ভোট হবে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের অবশ্যই ২০০০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী হতে হবে। বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবেন না।
তবে ঢাকা মহানগরের চারটি ইউনিটেরও শীর্ষ দুই পদে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) সরাসরি ভোট করার চিন্তা রয়েছে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ ২ ঘণ্টার বৈঠকে সার্চ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রদলের আগামী কাউন্সিলের তারিখ চূড়ান্ত করেন তারেক রহমান। এছাড়াও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ ও ভাংচুরের কারণে বহিষ্কার হওয়া ছাত্রদল সাবেক কমিটির নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তাদেরকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে রাখা হবে। সবাইকে নিয়ে ঈদুল আজহার পর একটি গ্রহণযোগ্য কাউন্সিল করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। বয়সের এমন বাধ্যবাধকতা দেয়ার কারণে সে সময় ছাত্রদলের সদ্য সাবেক নেতারা ক্ষুব্ধ হন। যা নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ফলে ওই নির্ধারিত তারিখে কাউন্সিল হয়নি। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি সমাধানের জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে দায়িত্ব দেন। তারাই মূলত ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের নেপথ্যে কাজ করেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ছাত্রদলের ভেঙে দেয়া কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইকতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক এবং সদস্য আজীম পাটোয়ারি, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আগে প্রার্থীদের আচরণবিধি ও যে যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে তাই ঠিক থাকবে। যা ঈদের পর ফের ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। আগস্টের শেষ দিকে ছাত্রদলের কাউন্সিলের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেয়া হবে। যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে ২০০০ সালের এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় পাশ হতে হবে। তবে রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই ১৯৯৮ সালের হতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রমাণের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশনের কপি জমা দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব আছে এমন প্রমাণপত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে। প্রার্থীকে স্নাতক পাশ হতে হবে এবং পাশের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।
ছাত্রদলের কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি প্রধান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর যত দ্রুত সম্ভব আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করা হবে। এছাড়া আমাদের কিছু কাজ শেষ
আরো পড়ুন: