আসন্ন ঈদে চাঁদপুরবাসীকে একটি সুখবর দিয়েছিলাম । এবার আরো একটি সুখবর দিতে চাই ।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট নিয়ে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ঘাটের কুলি শ্রমিক কতৃক মালামাল লঞ্চে আনা নেওয়ার সময় অন্যায়ভাবে বাড়তি টাকা দাবি করা, কুলি ব্যবহার না করলে হুমকি দেয়া সহ নানাবিধ হয়রানি ।
চাঁদপুরের মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে, এ সমস্যা সমাধানে কুলি শ্রমিকদের ইজারাদারকে ডেকে বিআইডব্লিউটিএ-র সাথে তার চুক্তিটি যাচাই করি । দেখা যায়, চুক্তিতে প্রতিটি সেবার জন্য নির্দিষ্ট রেট ঠিক করা আছে! তাহলে সমস্যা কোথায়, যাত্রীরা হয়রানি হচ্ছে কেন? এর উত্তর হলো, এই রেট চার্ট বা তালিকা কখনোই যাত্রীদের কাছে প্রকাশ করতো না কেউই! ফলে যাত্রী জানতই না কোন সেবার জন্য কুলিকে কত টাকা দিতে হবে।
এবার আমরা এই তালিকা ঘাটের দৃশ্যমান স্হানে টাঙিয়ে দিয়েছি । এখন থেকে সবাই জানবেন মোটরসাইকেল নামাতে কত টাকা দিবেন আর টেলিভিশন নামালে কত দিবেন। কিংবা দশ কেজির মাল লঞ্চে তোলার চার্জ কত।
আশা করছি এখন থেকে কেউ ইচ্ছামত টাকা দাবী করবে না, যাত্রীকে অসহায় ভেবে চাঁদাবাজি করবে না। আর যদি এই দুঃসাহস কেউ করেই থাকে আমাদের নাম্বার ত দেওয়াই আছে ঘাটে। কল দিন পুলিশ কে, বাকিটা আমরাই সামলাব।
সবাইকে ধন্যবাদ ।
আরো পড়ুন: