আইএস জঙ্গি রাস্তায় একটি গাড়ি থামিয়েছে …
গাড়ির ভিতরে এক খ্রিষ্টান দম্পতী ছিলেন, জঙ্গি তাদের গাড়ি থেকে টেনে বের করে জিজ্ঞেস করলেন, “মুসলমান নাকি?”
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন… ‘হ্যাঁ’।
জঙ্গি এবার বুদ্ধি করে জিজ্ঞেস করলেন, “কোরআনের একটা আয়াত বলো তো”
ভদ্রলোক চোখ বন্ধ করে, বাইবেলের একটা বড় প্যারাগ্রাফ বলে গেলেন জঙ্গি খুশি হয়ে বললেন… “চমৎকার!… তোমরা এখন যেতে পারো”
গাড়িতে উঠে ভদ্রলোকের স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন… ‘তোমার সাহস তো কম না… যদি জঙ্গি বুঝে যেত যে এটা কোরআনের আয়াত না?’
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, “যদি সে আসলেই কোরআন জানত, তাহলে আজ সে জঙ্গি হতো না”
☆ ইসলাম ধর্ম কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমর্থন করে না ।
☆ আই এস হচ্ছে ইজরায়েলের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে বিপথগামী কিছু মুসলিমদের ব্রেইন ওয়াশ করে, তাদের দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করিয়ে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে দেওয়া।
(এর মাধ্যমে ইজরায়েল কৌশলে খৃষ্টানদের হত্যা করে ইহুদীদের উপর চালানো গনহত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছে।)
*এটা সত্য পৃথিবীর প্রায় সকল অমুসলিম দেশে মুসলমানরা নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন এবং নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । ধর্ম পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ।
চালানো হচ্ছে গনহত্যা, ধর্ষণ ।
* ধর্ম নিরপেক্ষতা মতবাদের জনক ইউরোপ বা আমেরিকার কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কোথাও মুসলমানদের ধর্মীয় ছুটি নেই !
আবাসিক এলাকা কিংবা যে কোন স্থানে গির্জা থাকলেও মুসলমানদের মসজিদ তৈরির কোন অনুমতি নেই ।
স্কুল কিংবা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নামে কোন স্থানে নামাজ( মসজিদ) পড়ানো হলেও তা নানান অজুহাতে বন্দ করে দেওয়া হয়।
* আন্তর্জাতিক এবং অমুসলিম দেশের মিডিয়া গুলো সবসময়ই সত্যকে আড়াল করে মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করে যাচ্ছে । দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করছে ।
তবে ইসলাম কোন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা কিংবা আঘাত করার অনুমতি দেয়নি ।
* আই এস ইজরায়েলের বর্ডার ঘেষা সিরিয়ার একটি শহর দখল করে দীর্ঘদিন সেখানকার খৃষ্টান এবং মুসলমানদের উপর গনহত্যা চালায়, অথচ বর্ডারের ওপাশে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে একটি বোমা কিংবা গুলিও নিক্ষেপ করেনি !
* আই এস এর নিকট হইতে সর্বনিম্ন মূল্যে তেল ক্রয় করে ইজরায়েল এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করে!
* ইজরায়েলের দখলদার ইহুদীরা প্রতিদিন অসংখ্য ফিলিস্তিনি মুসলমান নর নারী ও শিশুদের হত্যা ধর্ষণ নির্যাতন করছে, গুটিয়ে দিচ্ছে মুসলমানদের বসত বাড়ি । অথচ তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব নিরব, নিরব মিডিয়া এবং জাতিসংঘ!
প্রয়োজন মনে করেনা নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ দেওয়ার!
* জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিশ্চুপ কাশ্মীর ইস্যুতে, মিয়ানমার ইস্যুতে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে, শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে!
নির্যাতন নিপীড়ন, অধিকার বঞ্চিত মানুষ গুলো যখনই তাদের অধিকার বা জীবন / ইজ্জত রক্ষার্থে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তখনই বিশ্ব মিডিয়া তাদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয় । অথচ বছরের পর বছর যখন তাদের নির্মম ভাবে হত্যা ধর্ষন নির্যাতন করে আসছে তখন তারা নিশ্চুপ!
সেখানে মানবতা খুঁজেনা , মানবতা বা মানবাধিকার ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, চেচনিয়া , বচনিয়া , চিন, মিয়ানমারের মুসলমানদের জন্য নেই! !!!